সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট, খাবার খান ইচ্ছেমতো
কাঁচকলা ডায়েট হল একটি পরিকল্পনা যা কলার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বৈশিষ্ট্যের জন্য আপনাকে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। এই ডায়েট প্ল্যানটি জাপানে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমদের জন্য নিয়মিত কোন রুটিন বা ব্যায়াম মেনে চলা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।
তাই যে রুটিন এর মধ্যে বেশী নিয়মনীতি নেই সেই ডায়েট মেনে চলা আমাদের জন্য সহজ হয়। ডায়েট শুধু আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে তাই নয়, আমাদের লাইফস্টাইল ও মননশীলতার পরিবর্তন করে। তাই চলুন জেনে নিই সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট।
পেজ সূচিপত্রঃ সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট
-
সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট
-
প্রতিদিন কাঁচাকলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলার পুষ্টিগুণ
-
কলা কখন খাওয়া উচিত
-
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
-
ডায়েট ছাড়াই ওজন কমার উপায়
- সমসাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট
সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট
আজকের আর্টিকেল এ আপনাদের সাথে আলোচনা করব সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা
ডায়েট সম্পর্কে। কলা ফাইবারে একটি চমৎকার উৎস। ফাইবারের কারণে কলা খেলে
দীর্ঘ সময় ক্ষুধা নিবারণ হয়। যার ফলে আমাদের খাবারের চাহিদা কমতে
থাকে। কলাতে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ফাইবার থাকে যা খাদ্যগ্রহণকে ভালোভাবে
নিয়ন্ত্রণ করে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় এর কিছু কার্যকারিতা
রয়েছে। যেমনঃ
-
কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে। প্রতিরোধী স্টার্চ হল
একটি কার্বোহাইড্রেট, যা ছোট অন্ত্রে সহজে ভাঙে না। যার ফলে আমাদের ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকে।
-
বেশি প্রতিরোধী স্টার্চ মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
-
কলায় রয়েছে ডায়েটরি ফাইবার যা একজন ব্যক্তির ক্ষুধা নিবারণে সহায়তা
করে।
- ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হলো এই
ডায়েট করলে এক্সট্রা ভাবে ব্যায়াম করার প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি
কাঁচকলা ডায়েট করে থাকেন, তাহলে আপনি শরীরচর্চা করতে পারেন, তবে না করলেও
সমস্যা নেই।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিদিন কাঁচাকলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। তাই এর উপকারিতাও অনেক বেশি। তাই
চলুন কাঁচা কলার বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নেই।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়কঃ যদি আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কাঁচা কলা হলো আপনার জন্য খাদ্য তালিকার বিশেষ সংযোজন। কাঁচা কলা ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। কাঁচা কলা হলো প্রাকৃতিক শর্করা যা আপনাকে চিনির প্রতি আকর্ষণ রোধ করবে।
- হজমের উন্নতি করেঃ কাঁচা কলা হলো ফাইভারের একটি চমৎকার উৎস। যা স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র তৈরি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। কাঁচা কলা হজমের সমস্যা যেমনঃ পেট তোলা ভাব দূর করে এবং বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
-
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করেঃ কাঁচা কলায় উচ্চ
মাত্রায় পটাশিয়াম থাকায় এটির হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি উচ্চ
রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা কলায় উপস্থিত
ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায়, এটি কোলেস্টেরল এর মাত্রা
কমায় এবং হার্ডকে সুস্থ রাখে।
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিঃ কাঁচা কলা হলো ভিটামিন B6 সমৃদ্ধ একটি খাবার। যা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন B6 মস্তিষ্কের বিভিন্ন নিউরো ট্রান্সমিটার তৈরি করতে সাহায্য করে। যেমনঃ সেরোটি, ডোপামিন ইত্যাদি। যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে অবশ্যই কাঁচা কলা খাওয়া প্রয়োজন।
-
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ কাঁচা কলা আপনার ত্বককে সুন্দর করতে এবং
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সহায়তা করে। কাচা কলায় ভিটামিন সি থাকায়
কোলাজেন তৈরি করে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং
বার্ধক্য জনিত লক্ষণ যেমন বলিরেখা প্রতিরোধ করে। কাঁচা কলাই থাকা
এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে ক্ষতিকারক রশ্মি হতে রক্ষা করে। যার ফলে আপনি
স্বাস্থ্যকর ত্বক পেয়ে থাকেন।
-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ কাঁচা কলায় ভিটামিন সি থাকায় আমাদের
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী
এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে
সহায়তা করে।
-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ কাঁচা কলায় ফাইবার
এবং প্রতিরোধী স্টার্চ থাকায় শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কাঁচা
কলার এই উপাদান গুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে শর্করার
মাত্রা সঠিক থাকে। তাই আপনার খাবারে যদি নিয়মিত কাঁচা কলা থাকে তাহলে আপনার
ডায়াবেটিক্স প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে এই কাঁচাকলা।
-
চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ
বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকায় চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে কাঁচা কলা
সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কাঁচা কলা চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে। নিয়মিত
কাঁচা কলা খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ, চোখের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভালো দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।
-
হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ কাঁচা কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে
সহায়তা করে। আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা কলা খেয়ে থাকেন, তাহলে আপনি নিশ্চিত
থাকতে পারবেন যে আপনার বয়স বাড়ার পরও আপনার হার সুস্থ এবং মজবুত থাকবে।
-
প্রদাহ কমায়ঃ কাঁচা কলায় এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং নির্দিষ্ট কিছু
এনজাইম থাকায় বাত ও ব্যথাজনিত সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
-
সুস্থ গর্ভধারণঃ কাঁচা কলা তার পুষ্টিগুণের কারণে গর্ভবতী
মায়েদের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। গর্ভের বাচ্চার সঠিক বিকাশ ঘটায় এবং
নিউরাল টিউব ত্রুটির ঝুঁকি কমায়। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পায়ে ব্যথা
কমাতেও কাঁচা কলা খুবই উপকারী।
-
শক্তির মাত্রা বৃদ্ধিঃ কাঁচা কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকায়
আপনার এনার্জি বৃদ্ধির জন্য এবং দ্রুত ও টেকসই শক্তি বৃদ্ধির জন্য কাঁচা কলা
হলো একটি স্বাস্থ্যকর ও সুবিধাজনক পছন্দ। কাঁচা কলার কার্বোহাইড্রেট গুলো
সহজে হজম হয়, যা শারীরিক ও মানসিক ক্রিয়া-কলাপের উৎস।
কলার পুষ্টিগুণ
কলার আকার এর উপর এর পুষ্টিগণের মাত্রা নির্ভর করে। কলার আকার পরিবর্তনের সাথে
সাথে পুষ্টিগুণের মাত্রাও পরিবর্তন হয়। চলুন আমরা সাত থেকে আট ইঞ্চি সাইজের
লম্বা কলার পুষ্টিগুণের মাত্রা সম্পর্কে জানি।
নাম | পরিমান |
---|---|
শক্তি | 105kcal |
শর্করা | 27g |
প্রোটিন | 1.29g |
ফাইবার | row4 col 2 |
ফ্যাট | row5 col 2 |
পটাশিয়াম | 422mg |
ম্যাগনেশিয়াম | 31.90mg |
ফসফরাস | 26mg |
ক্যালসিয়াম | 5.90mg |
আয়রন | 0.31mg |
Folate | 23.60 মাইক্রোগ্রাম |
কলা খাওয়ার অপকারিতা
কলার তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে খালি পেটে কলা খেলে
শারীরিক সমস্যা হতে পারে যেমন খালি পেটে কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা বা অ্যাসিডিটি
হতে পারে। তবে আপনি যদি কোন খাবারের সঙ্গে কলা খান তাহলে এর অনেক বেশি উপকার
পাবেন।
কলার রয়েছে অনেক উপকারিতা আর অপকারিতার পরিমাণ খুবই কম। তাই আমরা নিয়মিত
কলা খাওয়ার চেষ্টা করব।
কলা কখন খাওয়া উচিত
আপনারা নিশ্চয়ই ওনার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন
কলা কখন খাওয়া উচিত? কলা খালি পেটে খেতে হবে নাকি ভরা পেটে খেতে হবে? চলুন কলা
খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেই।
কলা সাধারণত সকালে খাওয়াই ভালো। কলা খেলে আপনার সারাদিনের কাজ করার ক্ষমতা
বৃদ্ধি পাবে। তবে অবশ্যই খালি পেটে কলা খাওয়া যাবেনা। সকালে কলা খেতে চাইলে
শুকনো কোন খাবারের সঙ্গে খেতে পারবেন। কলা যে শুধু সকাল বেলায় খেতে হবে তা নয়
আপনি দিনের যেকোনো সময় অথবা রাতেও কলা খেতে পারবেন।
রাতে কলা খেয়ে ঘুমালে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ভালো ঘুম হয়।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য কিছু কার্যকরী খাবার রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি দ্রুত
আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারবেন। যেমনঃ
-
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। ফুল ক্রিম
দুধ, অ্যাভোকাডো, তেল, চর্বিযুক্ত মাছ হতে পারে আপনার ওজন বৃদ্ধির অন্যতম
উপাদান।
-
ওজন বাড়ানোর জন্য উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমনঃ মুরগি,
গরুর মাংস, ডিম, পনির, মসুর ডাল, ছোলা, মটরশুটি ইত্যাদি এই খাবারগুলো খেলে
দ্রুত ওজন বাড়বে।
-
দুগ্ধ জাতীয় যেকোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। দুধ, পনির, দই আপনার
ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
-
স্বাস্থ্যকর চর্বি আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলপাই
তেল, নারকেল তেল, চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি আপনার শরীরের জন্য উপকারী
চর্বি হিসেবে কাজ করবে এবং ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
-
বাদাম ও বাদাম তেল আপনার দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।
-
শুকনো ফল যেমনঃ খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি ওজন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে।
ডায়েট ছাড়াই ওজন কমার উপায়
শরীরের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি হলে নারী বা পুরুষ উভয়ের জন্যই অস্বস্তিকর মনে
হয়। আবার শরীরের ওজন বেশি বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
শরীরের ওজন কমানোর চিন্তা করলে প্রথমে আমাদের মাথায় আসে ডায়েট করা। অনেকেই
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কিটো ডায়েট, ফাস্টিং, ক্রাশ ডায়েট, ইন্টারমেটিং ইত্যাদি
ডায়েট করে থাকেন।
মানে অনেকেই মনে করে ডায়েট মানেই না খেয়ে থাকা। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে ডায়েট
হল শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করা। সঠিক খাদ্যঅভ্যাস আপনাকে
স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করবে। আসুন জেনে নিই কিভাবে আপনার ওজন কমাবেন।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম করুন। যা আপনার ওজন কমানোর পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর করবে।
- রাতে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান। অপর্যাপ্ত ঘুম ওজন বৃদ্ধি করে।
- খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এতে কম খাবারে আপনার পেট ভরে যাবে। তাই ওজন কমাতে অবশ্যই বেশী বেশী পানি পান করুন।
- চিনি পরিহার করুন। কারন চিনি ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহন করুন। কারণ দীর্ঘ সময় খাবার গ্রহন না করলে একবারে বেশী খাওয়া হয়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহন করুন।
সমসাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্নঃ কি কি খাবার খেলে শরীরের ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ ডিম পিনাট পনির চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ চিনি বাটার ঘি ইত্যাদি
খাবার খেলে শরীরের ওজন বাড়ে।
প্রশ্নঃ কি কি খাবার খেলে শরীর মোটা হয়?
উত্তরঃ উচ্চ ক্যালরিযুক্ত যে কোন খাবার যেমনঃ কাজুবাদাম, কাঠবাদাম,
আখরোট, পেস্তা, চিনা বাদাম, খেজুর, কিসমিস, আলুবোখরা, ফুল ক্রিম দই, পনির, ক্রিম,
মুরগির মাংস, আলু, মিষ্টি আলু, চকলেট, পাকা কলা, পিনাট বাটার ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে কি কি খেলে ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ খেজুর, আখরোট, কিসমিস, নারিকেল, খোরমা ইত্যাদি খালি পেটে খেলে
আপনার ওজন দ্রুত বাড়বে। শুকনো ফল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে
দ্রুত ওজন বাড়ে।
প্রশ্নঃ কি কি ফল খেলে মানুষ মোটা হয়?
উত্তরঃ মিষ্টি জাতীয় যেকোনো ফল খেলে মানুষ মোটা হয়। বিশেষ করে আম,
কাঁঠাল, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি খেলে মানুষ মোটা হয়। শুকনো ফল যেমনঃ
খেজুর, কিসমিস, বাদাম ইত্যাদি খেলেও মানুষ মোটা হয়।
প্রশ্নঃ মাখন খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ মাখনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং চর্বি। তাই এটি ওজন
বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আপনি যদি কার্বোহাইড্রেট যেমনঃ রুটি বা আলু ইত্যাদির
সাথে মাখন খান, তাহলে আপনি অবশ্যই মোটা হবেন।
প্রশ্নঃ কলা খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ অনেকেই মনে করেন যে, কলা খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু
তা একেবারেই ভুল ধারণা। বরং কাঁচা কলা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে পাকা কলা
খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
প্রশ্নঃ দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায়?
উত্তরঃ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমনঃ দুগ্ধজাত
খাবার, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, তৈলাক্ত মাছ, মাংস ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ডায়াবেটিকস রোগীর ওজন বাড়ানোর খাবার।
উত্তরঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাবারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন
খাবারগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে। ওজন বাড়াতে ডায়াবেটিস রোগীদের
জন্য উপকারী খাবার হলঃ মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, ফুল ক্রিম দুগ্ধজাত খাবার, তেল
জাতীয় খাবার ইত্যাদি।
লেখকের মন্তব্যঃ সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট
আশা করি আপনারা সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। ওজন বৃদ্ধি যে শুধু খাবারের জন্য হয় তা নয়। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতা,
ঔষধ বা হরমোনের কারনেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই কি কারণে ওজন বৃদ্ধি পাচ্ছে তা জানা
আমাদের জন্য বেশী জরুরী। তারপর ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে
পারেন।
তাই আমি মনে করি আপনাদের ওজন কমাতে সহজ উপায়ে ওজন কমানোর কাঁচকলা ডায়েট একটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করবে।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url