মুখের তৈলাক্ততা দূর করার কার্যকরী ২০টি উপায়
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চান। আজকের আর্টিকেলটিতে মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রত্যেকটি মানুষের ত্বকেই তেল থাকে। যা সেবোসিয়াস গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই তেল আপনার ত্বককে হাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর রাখে।

পেজ সূচিপত্রঃ মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়
- মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়
- মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার ফেসওয়াশ
- মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ক্রিম
- ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে পারে ১৫ টি খাদ্য
- সমসাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
- মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আমাদের
আজকের এই আর্টিকেলে। আমাদের তিন ধরনের তক রয়েছে যেমন- শুষ্ক, স্বাভাবিক এবং
তৈলাক্ত। চাঁদের তৈলাক্ত ত্বক বা অয়েলি স্ক্রিন রয়েছে তারা অনেকেই স্কিনের
নানারকম সমস্যায় ভুগেন। তবে সামান্য পরিমাণে ত্বক তৈলাক্ত থাকলে সেটা
ভালো। তবে তৈলাক্ত ত্বকের অসুবিধাও কম না।
ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে যেমন- স্ট্রেস, আর্দ্রতা,
জেনেটিক, হরমোন ইমব্যালেন্স ইত্যাদ। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজেই ধুলাবলি
আটকে যায় এবং মুখের পোরগুলো বন্ধ করে দিয়ে ব্রনের তৈরি করে। অনেক সময়
তৈলাক্ত ত্বকে লোমকূপ বড় হয়ে যায়, যাতে তৈরি হয় বিড়ম্বনা। বারবার
মুখ পরিষ্কার করার পরেও ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। চলুন মুখের তোলাক্ততা দূর
করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-
-
তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত তেল বের হওয়ার কারণে লোমকূপ বড় হয়ে
যায়। আবার অতিরিক্ত তেলের কারণে বা লোমকূপে তেল জমে ব্রন তৈরি
করে। তাই অবশ্যই প্রতিদিন ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
-
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে শসা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনি
প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ত্বকের তৈলাক্ত
ভাব অনেক কমে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। তার সাথে সাথে
ত্বকের কালো দাগ দূর করবে।
-
আপনি ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে স্কাব ব্যবহার করতে পারেন। চালের গুঁড়ো ও
মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুই দিন
আপনার ত্বকে ব্যবহার করুন, ৩০ মিনিট রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের
তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করবে।তবে
অবশ্যই খেয়াল করবেন যদি আপনার মধুতে অ্যালার্জি থাকে তাহলে মধু ব্যবহার করা
যাবে না।
-
ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে আপনি এক ধরনের প্যাকও ব্যবহার করতে
পারেন। গোলাপজল ও লেবুর রস সমান পরিমাণে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি
করুন। সেই প্যাকটি ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। আলতোভাবে মুখ
পরিষ্কার করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার পাশাপাশি ব্রণ এবং
ফুসকুড়ির দাগও দূর করবে।
-
আপনি এক চামচ বেসন, অল্প পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো, টক দই একসঙ্গে
মিশিয়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। এই স্ক্রাবটি মুখে লাগিয়ে
৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে
মুখে তৈলাক্ততা যেমন দূর হবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
-
লালা আটা বা কনফ্লাওয়ার এর সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে
পারেন। এই প্যাকটি আপনি মুখে এবং গলায় ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের
তৈলাক্ত ভাব দূর করতে এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী।
-
ত্বকের তেলতেলে ভাবের পাশাপাশি যদি আপনার লোমকূপ ও বড় হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে
আপনি ডিমের সাদা অংশ টিস্যু পেপারের সঙ্গে লাগিয়ে মুখে দিয়ে দশ মিনিট
অপেক্ষা করুন। তারপর শুকিয়ে গেলে আলতো করে পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার
করে ফেলুন। এটি ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বককে সুন্দর এবং
টানটান করবে।
-
নিয়মিত এলোভেরার জেল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর
হয়। পাশাপাশি এলোভেরার জেল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বককে উজ্জ্বল
করতে এবং ত্বকের পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে সহযোগিতা করে।
-
আপনি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। কারণ রসুন এ
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিবায়োটিক ফর্মুলা। যা ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে
এবং ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
-
আপনি মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশে স্কাব তৈরি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে
দুই চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে নিতে
হবে। তারপর ত্বকের লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে তেলতেলে
ভাব কমার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
-
আপনি চন্দন গুড়ার সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে
পারেন। তারপর সেই পেজটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে
রাখুন। তারপর আলতো করে ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন ত্বকের তেলতেলে ভাব একদম কমে
গেছে।
-
ত্বকের তৈলাক্ততা ও কালো দাগ দূর করতে আপেলের রস ও লেবুর রস একসাথে মুখে
লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুনG
-
ত্বকের তেল তেলে ভাব দূর করা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য একটি
পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে চা পাতা ফুটিয়ে গামছা বা পাতলা কাপড় দিয়ে
মুখ ঢেকে মুখে ভাপ নিন । এভাবে ৩ থেকে ৫ মিনিট ভাপ নিতে হবে।
-
ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার
তিনবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
-
সকল ধরনের প্রসাধনী বা ফেসওয়াশ হতে হবে তেল মুক্ত।
-
মুখে সাবান ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। তার বদলে আপনি মাইল্ড ফেসওয়াশ
ব্যবহার করতে পারেন।
-
প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন।
-
সকল প্রকার তেল যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
-
বাইরে থেকে আসার পরে সবসময় মুখ পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।
- বাইরে বের হলে অবশ্যই জেল বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান? তেলতেলে ত্বকের কারণে
আপনার অবস্থার কি নাজেহাল? অনেক সময় পার্লারে গিয়েও বা অনেক ক্রিম মাখার
পরেও এই তেল তেলে ভাব থেকে রক্ষা হয় না। তবে এর সমস্যার সমাধান আমাদের ঘরেও
রয়েছে বা রান্নাঘরেও রয়েছে। এমন অনেক সাধারন উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার
ত্বকের নিখুঁতভাবে যত্ন করবে, তেলতেলে ভাব কমানোর পাশাপাশি ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা
ফুটিয়ে তুলবে। মুখের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় দেখে
নিন-
-
কলার মাস্কঃ প্রথমে একটি পাকা কলা নিতে হবে। তারপর কলাটাকে
চটকে পেস্ট বানিয়ে নিন।তারপর তার সঙ্গে একটা মধু এবং দুই ফোঁটা লেবুর রস
মিশান। তারপর এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। পানি দিয়ে
মুখ ধুয়ে ফেলার পরে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। দেখবেন তেলতেলে ভাব অনেক
কমে গেছে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
টমেটোঃ টমেটো খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি ত্বকে ব্যবহার করলেও
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। টমেটো হল প্রাকৃতিক ক্লিনজার। যা আপনার মুখের
বাড়তি তেল চুষে নেয় এবং ব্যাক হেডসে ও ব্রণ দূর করতে খুবই
কার্যকরী। একটি পাঁকা টমেটো পেস্ট করে নিন। তারপর পুরো
মুখে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আলতো ভাবে ধুয়ে
ফেলুন। এই পেস্টটি আপনি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করতে পারেন। তাতেই
ত্বকের জেল্লা দেখতে পাবেন।
-
অ্যালোভেরাঃ বাড়িতে এলোভেরার গাছ থাকলে সেটি আপনার খুব উপকারে
দেবে। এলোভেরার জেল ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন মুখের
তেলতেলে ভাব কেটে গেছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও সহযোগিতা করে।
-
নিমপাতা ও বেসনঃ নিমপাতা ও বেসনের মিশ্রণ তোলা তো ত্বকের জন্য
খুবই কার্যকরী। সেজন্য আপনাকে প্রথমে নিমপাতা বেটে দুই চামচ বেছনের সাথে
মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি
দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এটি ত্বকের তেল শোষণ করে এবং ব্রণ প্রতিরোধে
সহায়তা করে।
-
শশা ও দইঃ ২ টেবিল চামচ শশার রস এবং এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে
আপনার ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বককে
শীতল করে ও ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে।
-
বেকিং সোডাঃ এক চামচ বেকিং সোডা তিন চামচ পানিতে মিশিয়ে একটি
পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডায় রয়েছে অ্যান্টি
ইনফ্লামেটরি গুণ। যা ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি ব্রণ হওয়া
প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে।
মুখের তেলতেলে ভাব দূর করার ফেসওয়াশ
আমাদের ত্বকের যে সেবোসিয়াস গ্রন্থি রয়েছে সেখান থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে তেল
উৎপন্ন হলে আমাদের ত্বকে তৈলাক্ততা বৃদ্ধি পায়। আবার মাঝে মধ্যে এই
অতিরিক্ত তেল ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে ফেলে, যার ফলে ব্রণ ব্ল্যাকহেডস বা ত্বকের
অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আরো কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে
যেমন- জিনগত কারণ, হরমোনের প্রভাব, খাদ্য অভ্যাস, ট্রেস ও মানসিক
চাপ, আবহাওয়া, অতিরিক্ত কসমেটিক্স ব্যবহার করা ইত্যাদি কারণেও ত্বক
অতিরিক্ত তেলতেলে হতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আমরা প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য কিছু ফেসওয়াশ নিতে
পারি। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ কেনার সময় অবশ্যই কিছুদিক খেয়াল রাখতে
হবে যেমন-তেল নিয়ন্ত্রণক্ষমতা, লোমকূপ পরিষ্কার রাখা, নন-কমেডোজেনিক
ফর্মুলা, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, অতিরিক্ত আদ্রতা প্রদান
করা, প্রয়োজন অনুযায়ী উপাদান থাকা,স্যালিসিলিক এসিড, টি ট্রি
অয়েল, কয়লা, বেঞ্জওয়েল পেরক্সাইড, এলোভেরা, নিম
এক্সট্র্যাক্ট। কোন ফেসওয়াশে যদি এই ধরনের সকল উপাদান থেকে থাকে তাহলে সেটি
আপনার ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী হবে। এমন কিছু ফেসওয়াশের নাম নিচে দেয়া
হলো-
- Neemo Face Wash
- Neutrogena Oil Free Acne Wash
- La Roche-Posay Effaclar Gel Cleanser
- Himalaya Purifying Facewash
- Neutrogena Clear & Soothe Mousse Cleanser
- Cosrx Salicylic Acid Daily Gentle Cleanger
- The Body Shop Tea Tree Skin clearing Facial Wash
- CeraVe Foaming Facial Cleangser
- Mamaearth Charcoal Face Wash
- Simple Refreshing Face Wash
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ক্রিম
আমাদের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আমরা ক্রিম
খুঁজি। আমি আমার অয়েলি ত্বকের জন্য এমন কিছু প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ভালো
ফলাফল পেয়েছি সেরকম কিছু ক্রিমের নাম নিচে দেওয়া হল। আশা করি আপনারাও
উপকৃত হবেন। এই ক্রিমগুলো আপনি তেলতেলে ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন তার
পাশাপাশি ব্রণ এবং সেনসিটিভ স্কিনের জন্য ডেইলি ব্যবহার করতে পারেন।
-
নিউট্রজিনা ওয়েলফ্রি ময়শ্চারাইজার SPF-15
-
ইংল্যান্ড ক্লিয়ার স্কিন ব্যালান্সিং অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার
-
দি বডি শপ টি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং লোশন
-
দি বডি শপ সি উইড ম্যাটিফাইং ডে ক্রিম
- লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো মাইক্রো ইমালশন SPF-25
-
ল্যাকমি এ্যাবসল্যুট পারফেক্ট রেডিয়েন্ট ক্রিম
-
গার্নিয়ার স্কিন ন্যাচারাল লাইক কমপ্লিট সিরাম ক্রিম
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে পারে ১৫ টি খাদ্য
ত্বকের তৈলাক্ততার জন্য আমরা খুবই চিন্তায় থাকি। অনেক সময় তৈলাক্ততা
জেনেটিক বা বংশগতির মাধ্যমেও আসে। তবে এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য অনেক রকমের
পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল সঠিক খাবার নির্বাচন। আমাদের
খাদ্যাভ্যাস ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। সুতরাং ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার ক্ষেত্রে আমরা কোন খাবারটি
খেতে পারি চলুন তা জেনে নিই-
-
শসাঃ এতে রয়েছে ৮০% পানি এবং প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকে সজীব রাখে এবং তেঁতালে ভাব কমায়।
-
বাদামঃ বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি যা ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে
খুবই কার্যকরী।
- কমলাঃ কমলা হলো একটি সাইট্রাস জাতীয় ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং টক্সিন দূরকারী উপাদান রয়েছে। যা আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করবে।
-
সবুজ সবজিঃ সবুজ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ। যা আপনার
ত্বকের অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে।
-
অ্যাভোকাডোঃ এটি আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করার পাশাপাশি
মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।
-
ডাল জাতীয় খাদ্যঃ জাতীয় খাদ্য তেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে
সহযোগিতা করে। তাছাড়াও গালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং তেলের
নিঃসরণ কমায়।
-
জাম্বুরাঃ জাম্বুরা ত্বকের তেলাপোতা কমাতে বেশ কার্যকরী হিসেবে
কাজ করে এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং পানি যা শরীলের বিষাক্ততা দূর করে।
-
পূর্ণশস্যঃ শস্যজাতীয় খাদ্যগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশ। যা
ত্বকের তেলতেলে ভাব ও ব্রণ দূর করে।
-
মাছঃ মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ফ্যাটি এসিড, যা ত্বকের তৈলাক্ততা
এবং প্রদাহ কমায়।
-
ব্রকলিঃ ব্রকলি তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের
তৈলাক্ততা কমায় এবং ব্রণ প্রতিরোধ করে।
-
ফলঃ ফল এমন একটি খাদ্য যা আপনার হজমের সমস্যা দূর করবে, তার
পাশাপাশি ত্বকের তৈলাক্ততা কমাবে এবং ব্রণ উঠা প্রতিরোধ করবে।
-
নারিকেলের পানিঃ নারিকেলের পানি আপনার ত্বকের তলাক্ততা কমাবে,
ত্বককে পরিষ্কার করবে এবং নমনীয় রাখবে, তার সঙ্গে ত্বকের আদ্রতা বজায়
রাখবে।
-
ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেট যেমন সুস্বাদু তেমন কার্যকারিতা ও
প্রচুর। ডার্ক চকলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের তেলের উৎপাদন
নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ব্রনের প্রদাহ কমাবে।
-
লেবুঃ লেবু আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি খাদ্য। এটি
আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা কমাবে এবং ত্বক পরিষ্কার করবে, তার সাথে ত্বকের
উজ্জলতাও বৃদ্ধি করবে।
- কলাঃ প্রতিদিন আপনি যদি একটি করে কলা খান তাহলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে।কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ই, ফসফেট এবং পটাশিয়াম। যা আপনার ত্বকের তেতলে ভাব কমায়, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং আপনার ত্বকের লোমকূপকে সুরক্ষিত রাখে।
সমসাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্নঃ মুখ অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় কেন?
উত্তরঃ ত্বকের সিবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের
ফলে মুখ তৈলাক্ত হয়। এর পাশাপাশি জেনেটিক কারণে, হরমোন এম্বুলেন্স এর
কারনেও ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে।
প্রশ্নঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কি ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আপনি অয়েল ফ্রী প্রডাক্ট বা জেলজাতীয় ও
ওয়াটার বেজড মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্নঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ কোনটি?
উত্তরঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আপনি ওয়েল ফ্রী ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে
পারেন। যেমন-নিউট্রিজেনা ওয়েল ফ্রি একনি ফেসওয়াশ, হিমালায়া
পিউরিফাইং ফেসওয়াশ, সিমপুল রিফ্রেশিং ফেসওয়াশ, দি বডি শপ টি ট্রি স্কিন
ক্লিয়ারিং ফেসওয়াশ ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো ক্রিম কোনটি?
উত্তরঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো ক্রিম হলো- দি বডি শপ সি
উইড ম্যাটিফাইং ডে ক্রিম,
লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো মাইক্রো ইমালশন SPF-25, ল্যাকমি এ্যাবসল্যুট পারফেক্ট
রেডিয়েন্ট ক্রিম, গার্নিয়ার স্কিন ন্যাচারাল লাইক কমপ্লিট সিরাম ক্রিম
ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ত্বককে তৈলাক্ত থেকে স্বাভাবিক করার উপায়?
উত্তরঃ আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে ২ বার এবং ঘামের পরে প্রতিবার মুখ
পরিষ্কার করুন। ত্বকে অতিরিক্ত মেকআপ বা প্রসাধনী ব্যবহার করবেন
না। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান। ত্বকের
তৈলাক্ততা দূর করতে ঘরোয়া উপায় মেনে চলুন।
প্রশ্নঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে কি মুখে বরফ দেওয়া যায়?
উত্তরঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আইস থেরাপি বিশেষভাবে উপকারী। কারণ
এটি তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে আশা করি আপনারা বিস্তারিত বুঝতে
পেরেছেন। সকল ধরনের কসমেটিকস এবং কেমিক্যাল উপাদান বা প্রসাধনী ব্যবহারের
সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। চেষ্টা করবেন মুখের তৈলাক্ততা দূর
করতে ঘরোয়া উপায় মেনে চলার। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো
লেগেছে। মুখের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় সম্পর্কে আরো কিছু যদি আপনাদের
প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে পরিচিতদের
সঙ্গে শেয়ার করবেন। সঙ্গে থাকুন বঙ্গ টিপস আইটির।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url