মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা কি, কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
মরিঙ্গা পাতার গুড়া বা সজনে পাতার গুড়া অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। কিন্তু মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। এর উপাদান অন্য সাধারণ সবজির থেকে অনেক বেশি। তাই একে সুপারফুডো বলা হয়। আমরা অনেক সজনে পাতার গাছ দেখতে পাই।
কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা জানিনা। অনেকেই সজনে ডাটা পছন্দ করি। তবে জানেন কি সজনে পাতায় সজনে ডাটা থেকে বেশি গুনাগুন রয়েছে। সজনে পাতার পুষ্টিগুণের কারণে বিশ্বব্যাপী মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়ার চাহিদা প্রচুর।
পেজ সূচিপত্রঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
-
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
-
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
-
মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণ
-
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য মরিঙ্গা পাউডার
-
সতর্কতা বা সাইড ইফেক্ট
- সমসাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
-
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা আমাদের সকলের জন্য খুবই জরুরী।
মরিঙ্গা পাউডার আমাদের শরীরের অনেক বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। যা অনেকগুলো
খাবার একসঙ্গে খেলেও পাওয়া যায় না। চলুন মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
জেনে নিনঃ
-
চা বানিয়েঃ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি
হচ্ছে চা বানিয়ে খাওয়া। গরম পানিতে মরিঙ্গা পাউডার দিয়ে তারপর ফুটিয়ে
নিয়ে সেই পানীয় চা হিসেবে খেতে পারবেন।
-
শরবত বানিয়েঃ মরিঙ্গা পাউডার এর সঙ্গে খাঁটি মধু এবং লেবুর রস
মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারবেন। এই শরবত আপনার শরীরে ওজন ঠিক রাখে এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
সালাদঃ বিভিন্ন রকম সালাদের সাথে এই গুড়া মিশিয়ে খেতে পারবেন।
মরিঙ্গা পাউডার গুড়া সালাদের মান বৃদ্ধি করে।
-
স্মুদি দিয়েঃ স্মুদি আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর একটি
খাবার। এর সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার যোগ করলে তা আরো বেশি পুষ্টিকর হয়ে যায়।
তাই স্মোদির সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেতে পারবেন।
-
ওটমিলের সঙ্গেঃ ওটমিলের সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেতে
পারবেন। যা খাবারের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।
-
স্যুপের সাথেঃ সচরাচর যে কোন স্যুপের সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার
গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারবেন। যার ফলে স্যুপের পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়।
-
মসলা হিসেবেঃ যেকোনো ভাজি বা তরকারির সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার গুড়া
দিয়ে রান্না করতে পারেন। এতে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকাংশে বেড়ে যায়।
-
ভাতের সাথেঃ আমরা ভাতের সাথে সজনে ডাটা খেতে পছন্দ করি। কিন্তু
ভাতের সাথে মরিঙ্গা পাউডার গুড়া খেয়েছেন কখনো? মরিঙ্গা পাউডার বিভিন্ন
ধরনের তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে ভাতের সাথে খেতে পারেন।
-
কেকের সঙ্গেঃ আপনি বিভিন্ন কেকের ফ্লেভার হিসেবে মরিঙ্গা পাউডার
ব্যবহার করতে পারেন। তার সাথে পুষ্টিগুণ তো পাচ্ছেনই।
-
বড়ি বানিয়েঃ আপনি মরিঙ্গা পাতার বড়ি বানিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
এতে পাউডার খাওয়ার বিশেষ কোন ঝামেলা নেই।
-
মিক্সড ফলের সঙ্গেঃ আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলের সঙ্গে মরিঙ্গা
পাউডার মিক্স করে খেতে পারেন।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
মরিঙ্গা পাউডার পুষ্টিগুনে ভরপুর থাকার কারণে একে ফরটিফাইড ফুডও বলা হয়। মরিঙ্গা
পাউডার খেলে যে যে উপকারিতা পাওয়া যাবে তা নিচে দেওয়া হলঃ
-
মরিঙ্গা পাউডার পেটের গ্যাস, এসিডিটি, প্রদাহ দূর করার জন্য প্রাকৃতিক ঔষধ
হিসেবে কাজ করে।
-
মরিঙ্গা পাউডার হজম প্রক্রিয়া সুস্থভাবে সম্পন্ন হতে সহায়তা করে।
-
মরিঙ্গা পাউডার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে ডায়াবেটিস,
উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
-
মরিঙ্গা পাতায় প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের
শরীরে হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে।
-
শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে মরিঙ্গা পাউডারের উপকারিতা অপরিসীম। খাঁটি মধুর
সঙ্গে মরিঙ্গা পাউডার মিশিয়ে খেলে শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় এবং শারীরিক
শক্তি খুব সহজেই বৃদ্ধি হয়।
-
মরিঙ্গা পাউডার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। তাই নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়।
-
মরিঙ্গা পাউডারের বিশেষ পুষ্টিগুণের কারণে কিডনির সুরক্ষায় কার্যকরী অবদান
রাখে।
-
মরিঙ্গা পাউডারে নিয়াজিমিসিন নামক উপাদান থাকায় ক্যান্সার প্রতিরোধে
বিশেষ ভূমিকা পালন করে
-
লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে লিভারের সকল সমস্যায় মরিঙ্গা পাউডার
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- অ্যাজমা থেকে শুরু করে সর্দি-কাশির সমস্যার জন্য পূর্বে থেকেই মরিঙ্গা পাউডার ব্যবহার হয়ে আসছে।
মরিঙ্গা পাউডারের পুষ্টিগুণ
মরিঙ্গা পাউডার হলো পুষ্টির আধার। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ লবণ। যা
শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে মরিঙ্গা
পাউডারের কিছু মূল পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
-
উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ মরিঙ্গা পাউডারে রয়েছে
কোয়ারসেটিন এবং ক্লোরোজেনিক এ্যসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কোষকে ফ্রি
রেডিকেলস দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের
ঝুঁকি হ্রাস পায়।
-
ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থঃ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই
রয়েছে। সেই সাথে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। যা আপনার
স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। তাছাড়াও রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
-
প্রোটিনের উৎসঃ মরিঙ্গা পাউডার এ রয়েছে নয়টি অপরিহার্য
অ্যামিনো এসিড। যা পেশি মেরামত এবং বৃদ্ধি, সামগ্রিক সেলুলার ফাংশনের উন্নতি
করে।
- প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্যঃ মরিঙ্গা পাউডারে এমন বিশেষ উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়তা হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম মরিঙ্গা পাতায় রয়েছে-
নাম | পরিমান |
---|---|
শর্করা | ৮.২৮ গ্রাম |
ফাইবার | ২.০ গ্রাম |
স্নেহ | ১.৪০ গ্রাম |
প্রোটিন | ৯.৪০ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১৮৫ মিলিগ্রাম |
লৌহ | ৪.০০ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেশিয়াম | ১৪৪ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ১৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন এ | ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৫১.৭ মিলিগ্রাম |
ভালো মানের মরিঙ্গা পাউডার চেনার উপায়
মরিঙ্গা পাউডার দেখতে সব সময় সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। তবে মরিঙ্গা পাউডার তৈরির
পর যতদিন যেতে থাকে সবুজ ভাব তত কমতে থাকে এবং আস্তে আস্তে হলুদাভাব সবুজ বর্ণ
ধারণ করে। শুকনো সজনে পাতা থেকে তৈরি মরিঙ্গা পাউডার তৈরির পর ৬ মাস ভালো গুণাগুণ
থাকে। মনে রাখতে হবে, মরিঙ্গা পাউডার কখনোই একবারে মিহি হয় না।
এটা দেখলেই বুঝা যায় যে, পাতা থেকে গুড়া করা হয়েছে। তাই মরিঙ্গা পাউডার কেনার
সময় অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য মরিঙ্গা পাউডার
মরিঙ্গা পাউডার শুধু শরীরের জন্য উপকারী তাই নয়। এটি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী।
মরিঙ্গা পাউডারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ ভিটামিন এ এবং সি থাকায় এটি ত্বকের কোষকে
পুনর্জীবিত করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। মরিঙ্গা পাউডার
ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনেও বিশেষ অবদান রাখে। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা
বজায় রাখে।
মরিঙ্গা পাউডারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। যা ত্বকের সূক্ষ্মরেখা, বলিরেখা কমিয়ে তারূণ্য ধরে রাখতে
সহায়তা করে। মরিঙ্গা পাউডার, তেল, বীজ ইত্যাদি ত্বকের যত্নে ব্যবহার হয়ে
আসছে। মরিঙ্গা পাউডার বিভিন্ন ক্রিম এবং লোশন এর জনপ্রিয় একটি উপাদান। এটি
ত্বকের পুষ্টি বজায় রাখে।
মরিঙ্গা পাউডারে এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় ত্বকের লাল ভাব এবং
ব্রণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর
করে তোলে।
ফেস মাস্ক তৈরি
ত্বকের যত্নে আপনি ঘরে বসেই মরিঙ্গা পাউডারের ফেস মাস্ক বানিয়ে নিতে
পারেন। এক চামচ মরিঙ্গা পাউডারের সঙ্গে দুই চামচ দই মিশিয়ে ফেস মাস্ক
হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে অতিরিক্ত হাইড্রেশনের জন্য মধু যোগ করতে পারেন।
এই মিশ্রণটি মুখে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
সতর্কতা বা সাইড ইফেক্ট
মরিঙ্গা পাউডার বেশী পরিমানে না খেলে তেমন কোন সাইড ইফেক্ট নেই। তবে গর্ববতী
এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই পাউডার না খাওয়াই ভালো। কারণ গর্ভবতী এবং দুগ্ধ
দানকারী মায়েরা এই পাউডার খেলে পেটব্যথা এবং বারবার টয়লেট হওয়ার মতো সমস্যা
দেখা দিতে পারে। মরিঙ্গা পাউডার বেশি পরিমাণে খেলে বমি ভাব বা ক্ষুধামন্দা হতে
পারে। তাই মরিঙ্গা পাউডার পরিমাণে কম খেতে হবে।
মরিঙ্গা পাউডার ব্লাড প্রেসার কমাতে সহযোগিতা করে। তাই যারা ব্লাড প্রেসারের
ঔষধ খান তারা মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। যাদের কিডনীতে সমস্যা
রয়েছে তাদের মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন ৭০ গ্রাম এর বেশী মরিঙ্গা
পাউডার খেলে শরীরের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
তাছাড়াও মরিঙ্গা পাউডার কিছু কিছু ্ঔষধের সাথে রিয়াকশন করে তাই কোন সমস্যা
হলে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
সাময়িক প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি কি উপকার হয়?
উত্তরঃ মরিঙ্গা পাউডার আপনার শরীরের ইমিউনো সিস্টেম কে শক্তিশালী করে। যার ফলে আপনার
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, শরীরের সংক্রমণ ও অসুস্থতা প্রতিরোধ করে।
প্রশ্নঃ সজনে পাতার গুড়া কখন কিভাবে খেতে হয়?
উত্তরঃ সজনে পাতার গুড়া চা বা শরবত হিসেবে খেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারের
সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ মরিঙ্গা পাউডার যেকোনো সময় খাওয়া যায়। তবে সকালে খালি পেটে খেলে বেশি
কার্যকরী হয়।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার কত টাকা কেজি?
উত্তরঃ ১ কেজি মরিঙ্গা পাউডারের দাম পড়বে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে মরিঙ্গাকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে মরিঙ্গাকে সজনে পাতা বলা হয়।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাতা কিভাবে খেতে হয়?
উত্তরঃ মরিঙ্গা পাতা গুড়া করে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। অথবা কাঁচা মরিঙ্গা
পাতা রান্না করে খেতে পারেন।
প্রশ্নঃ সজনে পাতা কি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার কাদের খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ যাদের টিবি রোগ আছে, ডায়াবেটিস রোগী, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগী, সকলেই
মরিঙ্গা পাউডার খেতে পারবেন। কারণ এর উপকারিতা অনেক বেশি।
প্রশ্নঃ মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে বানাবো?
উত্তরঃ সজনে পাতা এবং ফুল একসঙ্গে রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে
যাবে মরিঙ্গা পাউডার। তারপর এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করুন।
প্রশ্নঃ Moringa এর বাংলা অর্থ কি?
উত্তরঃ মরিঙ্গা এর বাংলা অর্থ হলো সজনে পাতা।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখক এর মন্তব্য
আশা করি মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে
পেরেছেন। মরিঙ্গা পাউডারকে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার বলা হয়ে থাকে। এর
বিশেষ পুষ্টি উপাদানের বৈশিষ্ট্যের কারণে একে পুষ্টির ডিনামাইটও বলা হয়ে থাকে। এ
গাছের প্রত্যেকটি অংশ খাবার এবং ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এটা সহজলোভ্য এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরী হওয়ায় আপনার স্বাস্থ্যকর জীবন
তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url