ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান | আপডেট অনুসন্ধান নিয়ম জানুন ২০২৫
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে আপনাকে প্রথমে তা সম্পর্কে জানতে হবে। ই পর্চা খতিয়ান হল ইলেকট্রনিক পর্চা খতিয়ান, যেখানে আপনি ঘরে বসে ইলেকট্রনিকভাবে বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্চা এবং খতিয়ানের অনুসন্ধান করতে পারেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান | আপডেট অনুসন্ধান নিয়ম
- ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান | আপডেট অনুসন্ধান নিয়ম
-
অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান করুন সহজে
-
ই পর্চা খতিয়ান কি জেনে নিন
- ইলেকট্রনিক পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান app
-
মোবাইলের মাধ্যমে ই পর্চা অনুসন্ধান করার নিয়ম
- অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা আবেদনের নিয়ম
- ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করুন সহজ নিয়মে
-
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম
-
বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম
-
সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
-
লেখকের মন্তব্যঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান | আপডেট অনুসন্ধান নিয়ম
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি জমির
মালিকানা খুঁজে বের করতে পারবেন। খতিয়ান হলো জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য
তথ্যসম্বলিত আনুষ্ঠানিক নথি বা দলিল।জমির খতিয়ানে সাধারণত মালিকের নাম দাগ
নাম্বার জমির পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। কোন জমিতে কোন ব্যক্তির কতটুকু
বৈধ মালিকানা রয়েছে বা কোন দাগে কতটুকু জমি সে পাবে তা খতিয়ান অনুসন্ধানের
মাধ্যমে জানা যায়।
জমির মালিকানা পরিবর্তন, জমির ক্রয় বিক্রয়, জমির বৈধ মালিকানা খুঁজে পেতে
অবশ্যই খতিয়ান যাচাই করতে হয়। পূর্বে এই বিষয়টি আরো জটিল ছিল। ভূমি
অফিসে গিয়ে পর্চা খতিয়ান যাচাই করতে হতো। তবে এই বিষয়টি এখন খুবই সহজ
হয়ে গিয়েছে। আপনি খুব সহজেই তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বা
ইলেকট্রনিক এর মাধ্যমে পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। যা
খুব সহজেই করা সম্ভব।
আপনি অনলাইনে dlrms.land.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে খতিয়ান ও দাগের তথ্য
অনুসন্ধান করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবার আপনি e khatian মোবাইল
অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে খতিয়ান ও দাগের তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য সার্টিফাইড কপি
এর আবেদন করতে পারবেন। এভাবে অনলাইনে এপ্লিকেশন করা খুবই সাশ্রয়ী এবং
সহজলভ্য। আপনি ঘরে বসেই এই ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে
পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।
অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান করুন সহজে
অনলাইন খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে। আপনি
যখন ই নামজারি আবেদন করার পর ই নামজারি যাচাই করে দেখতে পাবেন খতিয়ান প্রস্তুত
হয়েছে, তখন আপনি নামজারি খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে
আপনাকে অবশ্যই ই নামজারি আবেদন করার পর যাচাই না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
খতিয়ান সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। সেগুলো হলঃ
- সার্ভে
- নামজারি
প্রাথমিকভাবে সকল সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে দুইটি জিনিস প্রয়োজন
হয়। যেগুলো ছাড়া আপনি সার্ভে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন
না। সেগুলো হলঃ
- খতিয়ান নং
- দাগ নং
আবার আপনি পচা অনুসন্ধান করতে গেলে একই নিয়মে করতে পারবেন না। কারণ এক
একটি পর্চা অনুসন্ধান করার ধরন একেক রকম। আবার একেক ধরনের পর্চায় একেক রকম
তথ্য থাকে। এজন্য অবশ্যই আপনাকে পর্চা সঠিকভাবে নির্বাচন করতে
হবে। আপনি কোন পর্যায়ে কিভাবে যাচাই করবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত
অনুসন্ধানের নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ
পর্চা নাম | অনুসন্ধান |
---|---|
বি আর এস | বি আর এস খতিয়ান যাচাই |
বি এস | খতিয়ান অনুসন্ধান বি এস |
সি এস | সি এস খতিয়ান অনুসন্ধান |
এস এ | এস এ খতিয়ান অনুসন্ধান |
আর এস | আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান |
ডিপি | ডিপি খতিয়ান অনুসন্ধান |
পেটি | পেটি খতিয়ান চেক |
খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য প্রাথমিকভাবে আপনাকে দাগ ও খতিয়ান নাম্বার অবশ্যই
জানতে হবে।সেক্ষেত্রে dlrms.land.gov.bd ওয়েবসাইটে অথবা e
khatian মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে কিছু তথ্য দিয়ে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে
হবে। তারপর খতিয়ানের বিভিন্ন তথ্য টাইপ করে খুঁজুন লেখায় ক্লিক করতে
হবে, তারপর দেখবেন খতিয়ান ও দাগের বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে।
ব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্য-
- জমির মালিকের নাম
- জেলা
- বিভাগ
- উপজেলা
- মৌজা
- গ্রাম
জমি সংক্রান্ত তথ্যঃ
- দাগ নং
- খতিয়ান নং
ই পর্চা খতিয়ান কি জেনে নিন
সৃষ্টির শুরু থেকেই পুরো পৃথিবীতে জমি সংক্রান্ত ঝামেলার যেন শেষ
নেই। বাংলাদেশেও জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রচুর
হয়রানির শিকার হতে হয়। পর্চা বা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে ভূমি
মন্ত্রণালয়ের অফিসে গিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হতো। এসব কিছু মাথায় রেখে
জমিজমা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ডিজিটাল সেবা চালু করা
হয়েছে। যার নাম ই পর্চা।ই পর্চা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের
একটি সেবামূলক ওয়েবসাইট।
যেখানে আপনি ঘরে বসে ই পর্চা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ও
সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ই পর্চা ওয়েবসাইটের নাম হল
eporcha.gov.bd। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে জমি
সংক্রান্ত সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। তার পাশাপাশি আপনি জমির মালিকানা
যাচাই, খতিয়ানের তথ্য অনুসন্ধান এবং নামজারি আবেদন সহ জমি সংক্রান্ত
অন্যান্য সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ইলেকট্রনিক পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধানের app
ই পর্চা এমন একটা ডিজিটাল সেবা এটা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি জমি
জমা সংক্রান্ত বিশেষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই বিশেষ প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বসে জমির পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করতে
পারবেন। এজন্য আপনি ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে
পারেন। ওয়েবসাইট হল eporcha.gov.bd বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের
ওয়েবসাইট হল (https://dlrms.land.gov.bd/) এবং মোবাইল অ্যাপস হল e khatian ।এই
ওয়েবসাইট বা অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই খুব সহজেই জমি সংক্রান্ত
সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
সেজন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। ই পর্চা বিভিন্ন ধরনের হওয়ার
কারণে সঠিক ই পর্চা না দিলে সঠিক তথ্য পাবেন না। অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে ই
পর্চা নির্বাচন করতে হবে।এরপর যথাক্রমে বিভিন্ন তথ্য টাইপ করে খুঁজুন লেখায়
ক্লিক করলে আপনার জমি জমা সংক্রান্ত সকল তথ্য সামনে চলে আসবে। তারপর আপনি
খুব সহজেই সেসব তথ্য ডাউনলোড বা সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি কিভাবে ওয়েবসাইট
বা মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে ই পর্চা অনুসন্ধান করবেন বিস্তারিত নিচে দেওয়া আছে।
মোবাইলের মাধ্যমে ই পর্চা অনুসন্ধান করার নিয়ম
আপনি খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে ঘরে বসে পাঁচ মিনিটে অনুসন্ধান করতে
পারবেন। তবে অবশ্যই আপনাকে জমির ই পর্চা খতিয়ান প্রথমে অনলাইন করতে
হবে। যদি ই পর্চা খতিয়ান অনলাইন করা না থাকে তাহলে ভূমির
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ই পর্চা খতিয়ানটি অনুসন্ধান বা ডাউনলোড করতে
পারবেন না। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসে
গিয়ে ই পর্চা খতিয়ানটি অনলাইন করতে হবে। আপনি যদি
নির্ভুলভাবে ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করতে চান তাহলে নিম্নোক্ত
ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
-
ই পর্চা অনুসন্ধানের জন্য প্রথমেই আপনাকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের
ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তারপর সেখান থেকে সারভেক খতিয়ান অপশনটি
সিলেক্ট করতে হবে।
-
সার্ভে খতিয়ান অপশনটিতে ক্লিক করার পরে আপনার যে বিভাগে জমি রয়েছে সে
বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে।
-
বিভাগ নির্বাচনের পর আপনার যে জেলায় জমি রয়েছে সেই জেলা সিলেক্ট করতে
হবে।
-
একইভাবে জেলা বাছাই করার পর যে উপজেলায় আপনার জমি রয়েছে সেই উপজেলা সিলেক্ট
করতে হবে।
-
উপজেলা সিলেক্ট করার পর আপনাকে খতিয়ান ধরন নির্বাচন করতে
হবে। এক্ষেত্রে আপনার জমির খতিয়ানের ধরন অনুযায়ী খতিয়ান বাছাই করতে
হবে এবং সিলেক্ট করতে হবে।
-
আপনার জমির খতিয়ানের ধরন সঠিকভাবে বাছাই করার পরে আপনাকে জমির মৌজা বাছাই
করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক মোজা বাসায় করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী
সিলেক্ট করতে হবে।
- সর্বশেষ ধাপে আপনাকে এ পর্যায়ে খতিয়ান নাম্বার প্রদান করতে হবে এবং খুঁজুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি সকল তথ্য সঠিক হয় তাহলে ক্লিক করার পরেই আপনার খতিয়ানের বিস্তারিত তথ্য আপনি দেখতে পাবেন।
- যদি খতিয়ান নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধানের ফলাফল প্রদর্শিত না হয় তাহলে অধিকতর অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করুন এবং জমির মালিকের নাম ও দাগ নাম্বার দিয়ে খুঁজলেই আপনি ই পর্চা খতিয়ানের সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা আবেদনের নিয়ম
আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও এ পর্চা আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে এই
পর্যায় আবেদন দুই ভাবে করা যায়। একটি হলো আপনি নিকটস্থ ভূমি
মন্ত্রণালয়ের অফিসে গিয়ে সেখানকার দায়িত্ব রত্ন কর্মকর্তার নিকট আবেদন করতে
পারেন। দ্বিতীয় টি হল আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা খতিয়ানের আবেদন করতে
পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি নিম্নোক্ত ধাপগুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে আবেদন করতে
পারবেন।
-
অনলাইনের মাধ্যমে ই পর্চা খতিয়ানের আবেদন করার জন্য প্রথমে
আপনাকে আপনার যে জায়গায় জমি রয়েছে সেখানকার বিভাগ, জেলা,
উপজেলা, খতিয়ানের ধরন, মৌজা ইত্যাদি নির্বাচন করার পর এসে যদি
খতিয়ান দেখতে না পান তাহলে খতিয়ান আবেদনে ক্লিক করতে হবে।
-
খতিয়ান বাটন এ ক্লিক করার পর আবার পূর্বের মতো একটি ফরম আপনার সামনে
আসবে। আবার একইভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে ফরমটি পূরণ করুন।
-
খতিয়ান ডাউনলোডের জন্য আবেদন এবং খতিয়ান অনলাইন করার জন্য আবেদন
মোটামুটি একই রকম। শুধুমাত্র অনলাইন করার ক্ষেত্রে আবেদন ফরমে কপিড
ডাউনলোড করার কোন অপশন থাকবে না।
- তবে আপনি খতিয়ান অনলাইন করার জন্য আবেদন করার সময় শুধু সার্টিফাইড কপি ডাকযোগে বা অফিস কাউন্টারের মাধ্যমে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সংগ্রহ করতে পারবেন।
ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করুন সহজ নিয়মে
পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধানের পর সেটা ডাউনলোড করার প্রয়োজন হয়। সে
ক্ষেত্রে আপনাকে সরকার নির্ধারিত ফ্রি ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে। তারপর
তাৎক্ষণিকভাবে এই পর্যায়ে খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে যদি
আপনি এই পর্যা খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি নিতে চান তাহলে সেই সার্টিফাইড কপি আপনার
ঠিকানায় পৌঁছাতে সাত কর্ম দিবস সময় লাগবে। জমির খতিয়ান ডাউনলোড করার জন্য
আপনার যে সকল তথ্য লাগবে তা হলঃ
-
জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার।
- আপনার সঠিক জন্ম তারিখ।
- মোবাইল নাম্বার।
- ইমেইল।
- জমির তথ্য অনুযায়ী সঠিক ঠিকানা।
- আপনার ইংরেজিতে নাম।
খতিয়ান অনুসন্ধান করার পর তখন আপনার খতিয়ান খুঁজে পাবেন তখন আপনার নামের উপরে
ক্লিক করলে নিচের ছবি তথ্য অনুসারে এরকম দেখা যাবে। ছবিতে দেখানো
খতিয়ান আবেদন বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর খতিয়ান আবেদন ফরম দেখা যাবে।
তারপর ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে তিনটি ধাপ অবলম্বন করতে
হবে। সেগুলো হলঃ
-
প্রথমে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার জন্ম
তারিখ ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করতে হবে। যদি সকল
তথ্য সঠিক হয় তাহলে সফল হয়েছে এমন দেখাবে।
-
জমি তথ্য অনুযায়ী আপনার নামটি ইংরেজিতে দিতে হবে এবং পাশে থাকা ইমেইল বক্সে
আপনার ইমেইল ঠিকানাটি প্রদান করতে হবে। তারপর জমির ঠিকানা অনুযায়ী
আপনার ঠিকানা এবং আবেদনের ধরন বাছাই করতে হবে। তারপর আপনি যদি অনলাইন
কপি ডাউনলোড করতে চান সেক্ষেত্রে অনলাইন কপি নির্বাচন অপশনে যেতে
হবে। যদি আপনি সার্টিফাইড কপি পেতে চান সে ক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপি
বাটনে ক্লিক করতে হবে। তারপর অফিস কাউন্টার বা ডাকযোগ নির্বাচন করতে
হবে।
-
খতিয়ান ডাউনলোড ফি প্রদান করার জন্য আপনি মোবাইল ব্যাংকিং যেমন- বিকাশ,
নগদ, রকেট, উপায় ইত্যাদির মাধ্যমে ফি প্রদান করতে
পারেন। আপনি যদি তাৎক্ষণিক ই পর্চা খতিয়ান অনলাইন কপি ডাউনলোড
করতে চান সে ক্ষেত্রে ১০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। তবে আপনি যদি
সার্টিফাইড কপি নিতে চান সে ক্ষেত্রে ডাকযোগে নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ৪০
টাকা প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ডাকযোগেটিফাইড কপি নেন সে
ক্ষেত্রে আপনাকে ১৪০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধের
পর আপনি অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা সার্টিফাইড কপির জন্য
সাত কর্ম দিবস অপেক্ষা করতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম
আপনি অনলাইনে আবেদন ছাড়াও ভূমি মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে খতিয়ান অনুসন্ধান করতে
পারবেন।ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল হট লাইন নাম্বার হলো ১৬
১২২। আপনি ভূমি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য এই হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে
পারেন। তাছাড়াও আপনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসে গিয়ে খতিয়ান
অনুসন্ধানের যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন এবং আবেদন করতে পারেন। ভূমি
মন্ত্রণালয়ে ঠিক অনলাইনের মত যাবতীয় তথ্য পূরণ করে আবেদন করা যাবে।
-
প্রথমে ভূমি তথ্য বাতায়ন ডি এল আর এম এস ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
-
এরপর খতিয়ান সিলেক্ট করুন সার্ভে কিংবা নামজারি।
-
জমির স্থান অনুযায়ী বিভাগ, জেলা, উপজেলা নির্বাচন করুন।
-
তারপর খতিয়ান বা পর্চা এর ধরন সিলেক্ট করুন। যেমন- বি এস, সি
এস, বি আর এস, আর এস, এস এস ইত্যাদি।
- তারপর মৌজা সিলেক্ট করুন।
-
খতিয়ান নাম্বার দিন এবং ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনে অধিকতর অনুসন্ধানে গিয়ে দাগ নাম্বার দিয়ে খুঁজুন।
বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান করার নিয়ম
বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে বিএস কি। বিএস
বা বাংলাদেশ সার্ভে হল বাংলাদেশের ভূমি জরিপের একটি আধুনিক পদ্ধতি। যার মাধ্যমে
ভূমির মালিকানা, পরিমাপ এবং খতিয়ান এর সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং নথিভুক্ত করা
হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে ভূমি জরিপের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে
তখন থেকে বিএস জরিপ চালু করা হয়। চলুন বিএস পদ্ধতির মূল লক্ষ্য সম্পর্কে
জেনে নিইঃ
-
মূলত ভূমির সঠিক পরিমাপ এবং চিহ্নিতকরণ এর জন্য বিএস পদ্ধতি চালু করা
হয়।
-
বিএস পদ্ধতি মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিরসনে সহায়তা করে।
-
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খতিয়ানের নির্ভুলতা নিশ্চিত করা যায়।
-
সকল জমির তথ্য ডিজিটালাইজেশন এবং অনলাইনের মাধ্যমে সহজে এক্সেস
নিশ্চিত করা।
বিএস জরিপের প্রক্রিয়াঃ
-
প্রাথমিকভাবে জমির সীমানা নির্ধারণ এবং মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা
হয়।
-
প্রতিটি মজার জন্য একটি করে ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়।
-
ভূমির মালিকানা দখলদারিত্ব খাজনা ইত্যাদি তথ্য লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে
খতিয়ান তৈরি করা হয়।
-
প্রাথমিকভাবে একটি খতিয়ান প্রকাশ করা হয় এবং যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে
তা গ্রহণ করা হয়।
-
সকল আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত খতিয়ান প্রকাশ করা হয়।
বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান পদ্ধতিঃ
-
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অথবা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিএস খতিয়ান
অনুসন্ধান করা যায়।
-
খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য মোজার নাম, খতিয়ান নাম্বার, দাগ
নাম্বার, জমির মালিকের নাম ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। এসব তথ্য
প্রদানের মাধ্যমে খুব সহজেই বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন।
বি এস পদ্ধতির সুবিধাঃ
-
বিএস পদ্ধতির মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
- জমি সংক্রান্ত বিরোধ কমে আসে।
-
বিএস পদ্ধতির মাধ্যমে খুব দ্রুত জমির তথ্য অনুসন্ধান করা যায়।
-
ভূমি সংক্রান্ত মামলা মোকাদ্দমার পরিমাণ হ্রাস পায়।
বিএস পদ্ধতির চ্যালেঞ্জঃ
-
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর অভাব।
- স্থানীয় বিরোধ ও অসহযোগিতা।
- জরিপ চলাকালীন তথ্যগত ভুল।
সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ ই পর্চা কি?
উত্তরঃ ই পর্চা হচ্ছে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি
ওয়েবসাইট যেখানে আপনি জমি জমা সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং সেবা গ্রহণ করতে
পারেন।
প্রশ্নঃ খতিয়ান নাম্বার কিভাবে বের করব?
উত্তরঃ খতিয়ান নাম্বার বের করতে আপনি বাংলার ভূমি ওয়েবসাইটে যেতে
পারেন। সেখানে নাগরিক সেবা অপশনে গিয়ে আপনার সম্পত্তি জানুন এ ক্লিক
করে খতিয়ান নাম্বার বের করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ই পর্চা সেবার মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ই পর্চা সেবার মাধ্যমে আপনি অনলাইন এ পর্চা বা
খতিয়ান অনুসন্ধান করতে পারবেন এবং সেই তথ্যগুলো বা খতিয়ান ডাউনলোড করতে
পারবেন।
প্রশ্নঃ জমির পর্চা তুলতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ জমির পর্চার জন্য সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি ১০০
টাকা। কিন্তু আপনি যদি সার্টিফাইড কপি নিতে চান সেক্ষেত্রে ডাকযোগে
প্রেরণের জন্য ৪০ টাকা এক্সট্রা লাগে।
প্রশ্নঃ পর্চা খতিয়ান কী?
উত্তরঃ ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ তৈরী
করা হয় তাকে খতিয়ান বলে এবং চূড়ান্ত খতিয়ান এর অনুলিপিকে পর্চা বলা
হয়।
প্রশ্নঃ পর্চা শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ যখন কোন একটি আলাদা কাগজে খতিয়ানের অনুলিপি তৈরি করা
হয় তাকে পর্চা বলে। অর্থাৎ পর্চা হল খতিয়ানের আরেকটি কপি।
প্রশ্নঃ অনলাইনে খতিয়ান চেক করার নিয়ম কি?
উত্তরঃ অনলাইনে খতিয়ান চেক করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের
ওয়েবসাইট (https://dlrms.land.gov.bd/) যেতে হবে।সেখানে
নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান বাটনে ক্লিক করে খতিয়ান চেক করতে
পারবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। চেষ্টা করেছি খুব দ্রুতভাবে কিভাবে পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
করবেন তা জানানোর। পর্চা অনুসন্ধানের সময় অবশ্যই আপনার নিজ তথ্য
এবং জমির তথ্য সঠিক প্রদান করবেন।তাহলে খুব সহজেই এবং কম সময়ের
মধ্যে পর্চা খতিয়ান সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনি নিজে ঘরে
বসে এখন অনলাইনের মাধ্যমে এ সকল সুবিধা এবং তথ্য পেতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে ভূমি অফিসে গিয়ে বসে থাকতে হবে না। এই পুরো পোস্টটি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে খুব সহজে এবং ঘরে বসে
মোবাইলের মাধ্যমে এ পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান এবং সেবা গ্রহণ করতে
হয়। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের
সঙ্গে শেয়ার করুন। আরো নতুন নতুন সব তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করুন। সঙ্গে থাকুন বঙ্গ টিপস আইটির।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url