ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার সেরা ৩৫ টি উপায়
ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। যা নতুন ব্লগারদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয়। ওয়েবসাইটের ওয়েবপেজ রেংকিংয়ের জন্য ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নতুন ব্লগাররা জানেন না কিভাবে ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় এবং হাই কোয়ালিটি ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করা যায়। আপনি যদি ব্যাকলিংক সম্পর্কে বুঝতে বা ব্যাকলিংক তৈরি করতে সমস্যায় পড়ে থাকেন, তাহলে চিন্তার কিছুই নেই।কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে ব্যাকলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়
- ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়
- ব্যাকলিংক (backlink) কি কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন
- ব্যাকলিংক এর কাজ কি জেনে নিন
- ব্যাকলিংক চেনার উপায় dofollow না nofollow
- ব্যাকলিংক কিভাবে করে জেনে নিন
- ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়
ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কের নতুন
ব্লগারদের জানা খুবই প্রয়োজন।ব্যাকলিংক(ইংরেজিতে-Backlink) বলতে
বুঝায় একজনের ওয়েবসাইটের ওয়েবপেজকে অন্য একজনের ওয়েবসাইটের ওয়েব
পেজে লিংক করে দেওয়া। গুগল সার্চে একটি ওয়েবসাইটকে রেংকিং করতে
ব্যাকলিংক করা খুবই জরুরী। কারণ সার্চ ইঞ্জিন গুলো ব্যাকলিংককে একটি
নির্দিষ্ট পৃষ্ঠার জন্য ভোট বিবেচনা করে।
এই ব্যাকলিংক গুগল এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ
ব্যাকলিংক যত বেশি হবে গুগল এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সেই ওয়েবসাইটের
গ্রহণযোগ্যতা তত বৃদ্ধি পাবে। তার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের র্যাংকিং উপরের
দিকে উঠতে থাকবে। তবে ব্যাক লিংক বানানোর পূর্বে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটটি ভালো করে
চেক করে নিবেন, তারপর ব্যাকলিংক তৈরি করবেন।কিভাবে হাই কোয়ালিটি
ব্যাকলিংক তৈরি করবেন তার সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে বলবো।
ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায়ঃ
- কমেন্ট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করুনঃ কমেন্ট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করা হল ব্যাকলিংক তৈরি করা উপায় গুলোর মধ্যে সবথেকে সহজ একটি উপায়। আপনি আপনার নিসের সঙ্গে মিল রেখে কোন ওয়েবসাইটের ব্লক পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন এবং তার পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিতে পারেন এভাবে আপনি আপনার ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। কমেন্ট করার সময় অবশ্যই মাথায় রাখবেন আপনি যে ব্লক পোষ্টটি পড়ছেন কমেন্টটি যেন সে অনুযায়ী হয় এবং ওয়েবসাইটের মালিক যেন কমেন্টটি পছন্দ করেন। তাছাড়া যেহেতু আপনার কমেন্টে ব্যাকলিংক থাকবে ওয়েবসাইটের মালিক যে কোন সময় সেটা ডিলিট করে দিতে পারে। কমেন্ট এর মাধ্যমে যে লিংক তৈরি করবেন সেটা সাধারণত নোফলো ব্যাকলিংক হয়। তবে এই ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে মানুষ আপনার ওয়েবসাইট চিনতে শুরু করবে।
- ফোরাম ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেনঃ ফোরাম ওয়েবসাইট হল এমন সব ওয়েবসাইট যেখানে প্রশ্ন এবং উত্তর জিজ্ঞাসা করা হয়। আপনার নিশ সম্পর্কিত ফোরাম ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট করে তারপর আপনি সেখানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন এবং সেই উত্তরের পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটের একটি করে লিঙ্ক রাখতে পারেন। এইভাবে আপনি ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। তবে এই ব্যাকলিংক গুলো নোফল ব্যাকলিংক। তারপরেও এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের ট্রাফিক আসতে পারে। কিছু ফোরাম ওয়েবসাইটের নাম হলো- bissoy.com, Somewhere in blog, Trickbd, Techtunes, Science Bee, Qoura.com ইত্যাদি।
- গেস্ট পোস্টিং থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ আপনি গেস্ট পোস্টিং এর মাধ্যমে উন্নত মানের ডুফলো ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন। আপনি গেস্ট পোস্টের জন্য আপনার নিশের সঙ্গে মিলে ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট করে আপনি ভালো মানের ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। তবে ভালো ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত গেস্ট পোস্ট ফ্রিতে হয় না এর জন্য কিছু পেমেন্ট করতে হয়।
- সোশ্যাল বুকমার্কিং করেঃ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট বুক মার্ক করাকে বলা হয় সোশ্যাল বুকমার্কিং। আপনি যে ব্লগটি লিখছেন সেই ব্লগের নামে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পেজ তৈরি করুন। আপনি সেখানে ওয়েবসাইটের বিকল্প হিসেবে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর ট্রাফিক থাকায় আপনার পোস্টে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আসবে।এভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে বুক মার্কিং করতে পারেন। কিছু বুকমার্কিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন- facebook, instagram, pinterest, twitter, লিঙ্কডইন।
- ব্লগ সাবমিশন থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করাঃ ব্লগ সাবমিশন হল এমন একটি উপায় যেখানে আপনি এটি ব্লগ পোষ্ট লিখে মানে একটি ওয়েবসাইটের জমা দিতে পারেন এবং তার বিনিময়ে ব্যাকলিংক পেতে পারেন। তাছাড়াও আপনি যে ব্লগ পোষ্ট লিখবেন সেই পোষ্টের মধ্যে আপনার পেজের ইউআরএল বা লিংক যোগ করতে পারেন। আর এভাবেই ব্লগ সাবমিশনের মাধ্যমে আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন।
- ইমেজ সাবমিশন এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরিঃ ইমেজ সাবমিশন ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে ইমেজ সাবমিশন ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। তার জন্য আপনি প্রথমে ইমেজ সাবমিশন লিস্ট লিখে গুগলে সার্চ দিয়ে এই সকল ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে পারবেন। তারপরের ওয়েবসাইটে আপনি ছবি জমা দিয়ে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন।
- প্রোফাইল ব্যাকলিংক তৈরিঃ প্রোফাইল ব্যাক লিংক তৈরি বলতে বুঝায় আপনি আপনার ব্লগের প্রোফাইল তৈরি করে অন্য ওয়েবসাইট থেকে ডুফলো ব্যাকলিংক পেতে পারেন। প্রোফাইল ব্যাক লিঙ্ক খুঁজে পেতে আপনি গুগলে প্রোফাইল সাবমিশন ওয়েবসাইট লিস্ট লিখে সার্চ দিতে পারেন।সেখানে আপনি অনেকগুলো প্রোফাইল সাবমিশন ওয়েবসাইট খুঁজে পাবেন। তারপর আপনি নিজের একটি প্রোফাইল তৈরি করুন সেখানে আপনি নিজের ওয়েবসাইটের ইউআরএল লিখে ব্যাঙ্কিং তৈরি করুন। তারপর প্রোফাইল সাবমিশন ওয়েব সাইটে গিয়ে যেখানে একটি ওয়েবসাইট অপশন থাকবে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল দিয়ে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন।
- ডাইরেক্টরি সাবমিশন জমা থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ এই ডাইরেক্টরি submission ওয়েবসাইট থেকে আপনি ফ্রিতে অথবা পেইড ডুফলো ব্যাকলিংক বা নোফলো ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেইডের মাধ্যমেই ডুফলো লিংক তৈরি করা যায়। এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিভাগের আন্ডারে হয়ে থাকে। ডাইরেক্টরি জমা দেওয়ার জন্য আপনি ডাইরেক্টরি সাবমিশন ওয়েব সাইট লিস্ট লিখে গুগলে সার্চ করে এই ওয়েবসাইট গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন।
- ক্লাসিফাইড সাবমিশন থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ সাবমিশন ব্যাক লিঙ্ক তৈরির জন্য আপনি ফ্রি বিজ্ঞাপনের সাহায্য নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে ক্যাটাগরি অনুযায়ী একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে হবে তারপর বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় ওয়েবসাইটের অপশন পাবেন যেখানে আপনি প্রবেশ করে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। ক্লাসিফাইড সাবমিশন ওয়েবসাইট খুঁজে বের করার জন্য আপনি গুগলের ক্লাসিফাইড সাবমিশন ওয়েবসাইট লিস্ট লিখে সার্চ করুন।
- ওয়েব ২.০ সাবমিশন থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ আপনি এই ওয়েব ২.০ সাবমিশনে ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য সেখানে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে অনেক ব্যবহারকারী রয়েছে, তাই সেখান থেকে আপনি অনেক ট্রাফিক আনতে পারেন। ওয়েব ২.০ ওয়েবসাইটটি খুঁজতে আপনি গুগলে ওয়েব ২.০ ওয়েবসাইট লিস্ট লিখে সার্চ করতে পারবেন।
- ডোমেইন রিডাইরেকশন থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ ডোমেইন রিডাইরেকশন থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য মেয়েটি পুরাতন রোমেন কিনতে হবে যাতে ভালো ব্যাকলিংক রয়েছে। তারপর এটিকে আপনার ওয়েবসাইটে ৩০১ রিডাইরেক্ট করতে পারেন। এর মাধ্যমে পুরনো ডোমেনের সমস্ত মান এবং ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটে স্থানান্তরিত হবে। এই ডোমেইন রিডাইরেকশন ব্যাকলিংকটি ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য একটি শক্তিশালী কৌশল।
- উইকিপিডিয়া থেকে ব্যাকলিংক তৈরিঃ উইকিপিডিয়া হলো ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। উইকিপিডিয়াতে ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। তারপর আপনার নিজ অনুযায়ী একটি আর্টিকেল এবং কিছু তথ্য যোগ করে একটি ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। মনে রাখবেন আপনি শুধুমাত্র উইকিপিডিয়াতে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রাসঙ্গিক ওয়েব পেজে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। অন্যথায় উইকিপিডিয়া থেকে আপনার ব্যাককলিন সরিয়ে দেয়া হবে।
- কম্পিউটারের ব্যাক লিংক এনালাইজ এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করাঃ আপনি এই কম্পিউটার ব্যাকলিংক এনালাইজার এর মাধ্যমে আপনার প্রতিযোগীকে এনালাইজ করতে পারবেন। তারপর আপনিও এই ওয়েবসাইটে গিয়ে backlink তৈরি করতে পারবেন। এটি ব্যাকলিংক তৈরি করার একটি সহজ মাধ্যম।
- অর্গানিক ব্যাকলিংকঃ এটি এমন একটি ব্যাকলিংক যেখানে আপনাকে নিজের থেকে কোন ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে না। অন্য ওয়েবসাইটের লোকেরা তাদের কনটেন্ট এর ভিতর আপনার পোষ্টের লিংক বা ব্যাক লিংক দিয়ে দিবে। একে সহজ ভাষায় লিঙ্ক আরনিং বলা হয়ে থাকে। এই ব্যাকলিংক গুলো খুবই শক্তিশালী হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই খুবই ভালো লিখতে হবে এবং ইঞ্জিনিয়ারিং করার মাধ্যমে আপনি অর্গানিক ব্যাকলিংক পাবেন।
- আপনার যদি টাকা থাকে তাহলে আপনি ভালো মানের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক কিনে নিতে পারবেন।
- আপনি সার্চ ইঞ্জিন রেংকিং এর মাধ্যমেও ভালো মানের ব্যাকলিংক পেতে পারেন।
- আপনি এডিটোরিয়াল ব্যাকলিংক তৈরি করার মাধ্যমে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বানাতে পারবেন।
- আপনি প্রোফাইলে ও ডিরেক্টররি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন।
- ব্রোকেন লিঙ্ক বিল্ডিং অর্থাৎ যেখানে লিঙ্ক রয়েছে সেগুলোর পরিবর্তে আপনি আপনার ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন। আপনার ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে মাঝে সেই উক্ত ওয়েবসাইটের ব্রকেন লিংক ঠিক হয়ে যাবে।
- ফটোগ্রাফিক্স ভিসুয়াল কন্টেন্ট বা আকর্ষণীয় ইনফো গ্রাফিক এবং তথ্যপূর্ণ টক তৈরি করার মাধ্যমে আপনি প্রচুর ব্যাকলিংক পেতে পারবেন।
- এখন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে এটাই নির্দিষ্ট টপিকের সঙ্গে সম্পর্কিত লিঙ্কগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়। এই পেজগুলোতে আপনার কনটেন্ট বা ওয়েবসাইট যোগ করাতে পারেন এবং তার মাধ্যমে আপনি মূল্যবান লিংক পেতে পারেন।
- ইউটিউব এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
- Google মাই বিজনেস এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
- বিং প্লেসেসে ফর বিজনেস এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
- স্টক ফটোগ্রাফি সাইট থেকে ব্যাকলিংকতৈরি করা।
- ডিসকভারি থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
-
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করতে
পারবেন।
-
আপনি প্রেস রিলিজের মাধ্যমেও আপনার ওয়েব সাইটের ব্যাকলিংক পেতে পারেন।
-
সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং এর মাধ্যমে ব্যাক লিংক পাওয়া সম্ভব।
-
ইন্টারনাল লিংকিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়।
-
অন্য ব্লগারদের সাহায্য নিয়ে আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন।
-
ব্লগ কমেন্টিং ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি
করতে পারেন।
-
আপনি অন্যের ওয়েবসাইটে গিয়ে পোস্ট লিখে সেখানে নিজের লিংক দিয়ে ব্যাকলিংক
তৈরি করতে পারেন।
-
আপনি স্লাস ডট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যাটিং তৈরি করতে পারবেন।
-
হোয়ািইট ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও ব্যাটিং তৈরি করা সম্ভব।
ব্যাকলিংক (backlink) কি কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন
ব্যাকলিংক হল একজনের ওয়েবসাইট এর লিংক বা ওয়েবপেজের লিংক অন্য একজনের ওয়েবসাইট
এ লিংক করে দেওয়া। আপনারা অনেকেই ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। একটি ভাল ওয়েবসাইটে তার ব্লগ পোষ্টের মধ্যে আপনার
পোস্টটি লিংক দিয়ে বলল আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন। তাহলে এভাবে আপনার পোস্টের
ব্যাকলিংক তৈরি হয়ে গেল এবং আপনি অনেক পরিমাণে ট্রাফিক ও পেয়ে গেলেন। ব্যাকলিংক
অনেক ভাবেই করা যায় তবে সবগুলোই এসইও পারপাসে কাজে আসে না।
তবে আপনি যদি ভালো মানের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার
ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর আসবে এবং তার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট rank করা সহজ
হবে। ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য আপনি অনেক ওয়েবসাইট পাবেন।
ব্যাকলিংক তৈরি করার জন্য অনেক ওয়েবসাইট থাকলেও সব ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক
তৈরি করা ঠিক হবে না। সবসময় চেষ্টা করতে হবে হাই কোয়ালিটি ডোমেইন
অথরিটি আছে এমন ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করা।
ব্যাকলিংক এর কাজ কি জেনে নিন
একটি ওয়েবসাইট রেংক করার জন্য ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। যখন
আপনার ওয়েবসাইটে মানসম্মত ব্যাকলিংক থাকবে তখন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার
ওয়েবসাইট এর র্যাঙ্ক বাড়িয়ে দিবে। লিংক এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের
ট্রাফিক আশা ও বৃদ্ধি পাবে। ভিজিটর বেশি হওয়ার কারণে আপনার ওয়েবসাইট খুব
দ্রুত ভালো পর্যায়ে পৌঁছাবে। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি
বিষয়।
এক মিনিটের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে গুগলের কাছে বিশ্বস্ততা তৈরি হবে। তার সাথে
সাথে ভিজিটরদের কাছেও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে
ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। ব্যাকলিংকের
মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের খুব দ্রুত নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে
সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজে ইন্ডেক্সিং হবে এবং ক্রয়িং এর
প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়া যাবে।
ব্যাকলিংক চেনার উপায় dofollow না nofollow
ব্যাকলিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা একটি ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক আনতে
সাহায্য করে। এই ব্যাকলিংক রয়েছে দুই প্রকারে। একটি হলো dofollow
ব্যাকলিংক এবং আরেকটি হল nofollow ব্যাকলিংক। dofollow ব্যাকলিংকটি আমাদের
ওয়েবসাইটের জন্য খুবই কার্যকরী। ডু ফলো ব্যাক লিঙ্কের জন্য আপনাকে অবশ্যই
উচ্চমানের ব্লক পোস্ট তৈরি করতে হবে। আবার আপনি পেমেন্টের মাধ্যমেও ডুফলো
ব্যাকলিংক পেতে পারেন। এই ধরনের ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটার সংখ্যা
বাড়াতে এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহযোগিতা করে।
nofollow হল এমন একটি ব্যাক লিংক যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে জানাই যে
লিংকটি অনুসরণ করা উচিত নয় এবং এটি এসিওতে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। নফল
ব্যাকলিংক সাধারণত অনাকাঙ্ক্ষিত লিংকের প্রভাব কমানোর জন্য ব্যবহার করা
হয়। এই নফল ব্যাকলিংক সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিংয়ে প্রভাব না ফেললেও আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে সক্ষম। এই নফল ব্যাকলিংক ব্র্যান্ডে
ভিজিবিলিটি এবং ভিজিটর আনতে সক্ষম। যা ওয়েবসাইটের জন্য
দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক হতে পারে।
ব্যাকলিংক কিভাবে করে জেনে নিন
ব্যাকলিংক কিভাবে তৈরি করা যায় এই বিষয়টা নিয়ে নতুন ব্লগারদের চিন্তার শেষ
নেই। আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনার সেই ওয়েবসাইটে অনেক
বেশি ট্রাফিক এবং ভেজিটর আনার জন্য ব্যাকলিংক খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি ব্যাকলিংক যত বাড়বে ততই
ডোমেইন অথোরিটি ভালো হবে। ডোমেইন অথোরিটি যত ভালো হবে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ
ইঞ্জিনে তত বেশি রেংক করবে। ব্যাকলিংক তৈরি করার অনেক নিয়ম
রয়েছে। তবে নিরাপদ ভাবে ব্যাংক লিঙ্ক বানানোর কয়েকটি নিয়ম নিচে
দেওয়া হলঃ
-
সব ব্যাকলিংক সমান হয় না। অবশ্যই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার চেষ্টা
করবেন যা আপনার ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এর জন্য খুবই কার্যকর।
-
ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় খেয়াল করবেন যেন আপনার ওয়েবসাইরটর নিশের
সঙ্গে অন্য ওয়েবসাইটের নিশের মিল থাকে।
-
অতিরিক্ত কিওয়ার্ড সমৃদ্ধংকর টেক্সট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
-
যেহেতু গুগল অর্গানিক ব্যাক লিংক বেশি গুরুত্ব দেয়। সে ক্ষেত্রে আপনি
ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করুন।
- ন্যাচারাল এবং এডিটোরিয়াল লিংক নিশ্চিত করুন।
ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য
ব্যাকলিংক কি? ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সম্পর্কে আজকের
আর্টিকেলটিতে আমি বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি
পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আপনি অবশ্যই
ব্যাকলিংক কি এবং কিভাবে তৈরি করবেন সে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে
সম্পূর্ণভাবে জানতে পেরেছেন। তাহলে আর দেরি কেন গুগলে গিয়ে আপনার ব্লগকে
দ্রুত রান করানোর জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করা শুরু করে দিন। আর ওয়েবসাইটে
প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক এবং ভিজিটর নিয়ে আসুন। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সঙ্গে থাকুন বঙ্গ টিপস আইটির।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url