দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত- আপডেট তথ্য ২০২৫

                     

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত সম্পর্কে জানতে আপনারা অনেকেই খুবই আগ্রহী। বিশেষ করে যেসব  ভাইয়েরা  প্রবাসী ভিসায় দুবাই যেতে চায়। কারণ ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই গেলে অনেক রকমের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও দুবাই ড্রাইভিং ভিসার বেতন সবথেকে বেশি।

দুবাই-ড্রাইভিং-ভিসা-বেতন-কত

যার কারণে অনেকেই ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে ইচ্ছুক এবং দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই যে দুবাই ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত টাকা হয়। তাই আজকে রাতে আপনাদের দুবাই ড্রাইভিং ভিসার বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

পেজ সূচিপত্রঃ দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। বর্তমান সময় বাংলাদেশের অনেক মানুষ ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে চাই। কারণ ড্রাইভিং ভিসাই দুবাই গেলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়াও ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই গেলে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়। সেজন্য সকলেই ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে চায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না ড্রাইভিং ভিসার বেতন কত। এটা জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে সার্চ করে থাকেন। তাই আজকের আর্টিকেলে ড্রাইভিং ভিসার বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


দুবাইতে ড্রাইভিং ভিসার বেতন সব সময় এক রকম থাকে না। ড্রাইভিং ভিসার বেতন বিভিন্ন কারণে পরিবর্তন হতে পারে।সাধারণত দুবাইতে ড্রাইভারদের মাসিক বেতন ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হয়। তবে কেউ যদি ড্রাইভিং এ দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয় এবং তার বৈধ লাইসেন্স থাকে তাহলে তিনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি তারা ওভারটাইম ও করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি এবং কাজের ধরনের অনুযায়ী বেতন কাঠামো পরিবর্তন হতে পারে।

ড্রাইভিং ভিসা দুবাই কিভাবে করে

ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যাওয়ার জন্য যেসব বাংলাদেশী ভাইয়েরা ইচ্ছুক তাদের কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। কারণ ড্রাইভিং বিষয়ে যদি আপনি দুবাই যেতে চান তাহলে দুবাই যাওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে কোন গাড়ি চালাতে হবে। আর তাই গাড়ি চালানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং জানতে হবে। আপনারা যারা দুবাই যেতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই প্রথমে ড্রাইভিং শিখে নিন। ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই গেলে কি রকমের গাড়ি চালাতে হতে পারে তা দেখে নিন।
  • মোটরসাইকেল
  • ভারী ট্রাক
  • হালকা বাস
  • ভারী বাস
  • হালকা মোটরযান 
  • ফর্ক লিফট
  • ভারী ফর্ক লিফট
যখন আপনি পুরোপুরি ভাবে ড্রাইভিং শিখে ফেলবেন তখন দুবাই যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং ভিসায় আবেদন করুন। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার হবে। তার পাশাপাশি কিছু টাকা পয়সাও লাগবে। এরপর দুবাইতে যাওয়ার পর আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। তারপর আপনি দুবাইতে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই গিয়ে থাকে। বিশেষ করে কাজের সুবিধার্থে ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে আগ্রহী হয়। দুবাই অনেক উন্নত দেশ হয় এখানে কাজ কর্মের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি থাকে। আর বর্তমান সময়ে দুবাইতে ড্রাইভিং এর চাহিদা অনেক বেশি। তাই বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে ইচ্ছুক। তাই ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে হলে আপনাকে আগে অবশ্যই ড্রাইভিং এ তথ্য এবং পারদর্শী হতে হবে।

তারপর দুবাই যাবার পর আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আপনার সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৪৫০০ থেকে ৭ হাজার দিরহাম। এর মধ্যে আপনার ড্রাইভিং এর সকল খরচ যেমন স্কুলের ফ্রি, পরীক্ষা ফি এবং অন্যান্য প্রশাসনিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। কিন্তু আপনারা যদি প্রথম তিন বারে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে প্রতি তিন বারে ৩৫০০ বিরহাম করে খরচ হবে। 

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়স কত

দুবাই উন্নত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে দুবাই ড্রাইভিং ভিসায় যাওয়ার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে চান তাহলে তাকে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। দুবাই যাওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়স সম্পর্কে জানতে হবে। দুবাই যেহেতু উন্নত দেশ সেহেতু সেখানে ড্রাইভিং করার অনেক নিয়ম কানুন রয়েছে। দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য সঠিক বয়স অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

যারা ড্রাইভিং ভিসার দুবাই যেতে চান এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করার বয়স সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ আজকের আর্টিকেলে দুবাই যাওয়ার জন্য বিস্তারিত বলা হয়েছে। বর্তমান সময়ে দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সর্বনিম্ন বয়স হল ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫০ বছর। অর্থাৎ ২১ বছরের নিচে অথবা ৫০ বছরের উপরে কেউ ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে পারবেন না বা দুবাই যাওয়ার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না। 

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে

আপনারা যারা ড্রাইভিং ভিসায় বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তা জানা খুবই জরুরী। কারণ তাদের অবশ্যই কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। যে কাগজপত্র ছাড়া আপনারা দুবাই যেতে পারবেন না এবং দুবাই যাবার পরেও এসব কাগজপত্র আপনাদের প্রয়োজন হতে পারে তা এই পোস্ট থেকে জেনে নিতে পারেন।
  • পাসপোর্টঃ দুবাই যেতে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রঃ দুবাই যেতে এবং দুবাই যাওয়ার পর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ যদি আপনার নিজের দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা সঙ্গে নিতে হবে।
  • মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেটঃ মেডিকেল সার্টিফিকেট এর জন্য আপনাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করিয়ে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটঃ আপনাকে অবশ্যই অপরাধমুক্ত প্রমাণ দেওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হবে।
  • চাকরির অফার লেটারঃ ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে হলে অবশ্যই আপনার নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার লেটার বা চুক্তিপত্র লাগবে।
  • ভিসা প্রসেসিং ফিঃ আপনি কোন বিষয়ে দুবাই যাচ্ছেন সেই ভিসার ধরণ অনুযায়ী ফি দিতে হবে।

দুবাই ড্রাইভিং ভিসার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে

আপনারা যারা ডাইভিং বিষয়ে দুবাই যেতে চান তাদের অবশ্যই প্রথমে জানতে হবে যে ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন হয়। যেহেতু ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই গেলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ ড্রাইভিং বিষয়ে দুবাই যেতে চান। কিন্তু তারা জানেন না যে ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যাওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে। ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যাওয়ার জন্য যেসব যোগ্যতা লাগবে তা জেনে নিন।
  • আপনার বয়স অবশ্যই ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আপনার নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের হতে হবে।
  • অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তারা ড্রাইভিং এ দুই থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতা চাই। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে।
  • যদি আপনার নিজ দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা সঙ্গে নিতে হবে।
  • দুবাইতে যাওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে বা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় থাকতে হবে।

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার আবেদনের পদ্ধতি

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য আপনাকে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আপনার যদি বয়স ২১ থেকে ৫০ এর মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার আবেদন করতে পারেন। কারণ দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। আপনি দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার আবেদনের জন্য নিম্নক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
  • প্রথমে আপনাকে আপনার চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ চোখে যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি ড্রাইভিং পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না।
  • তারপর একটি আরটিএ অনুমোদিত ড্রাইভিং ইনস্টিটিউটে যোগ দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
  • UAE- তে লার্নার্স পারমিট অথবা অস্থায়ী লাইসেন্স পাবেন।
  • তারপর থিওরি ক্লাসে পাশ করতে হবে এবং ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অনুসরণ করতে হবে।
  • হাইওয়ে, শহরের রাস্তা, ট্রাফিক এবং দুবাইয়ের রাস্তার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।
  • পার্কিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং চূড়ান্ত আরটিএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে।
  • আপনি যদি চূড়ান্ত আরটিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারেন তাহলে পরবর্তীতে আবারো পরীক্ষার পূর্বে আপনি প্রশিক্ষণের অতিরিক্ত সাতটি ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা

আপনি যদি দুবাইয়ের স্থানীয় বা প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে নির্বিশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় যানবাহন চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়বে। । অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আজকে আমরা দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমেই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর একটি ফাইল ওপেন করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফাইল ওপেন করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স এই অপশনে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার এনআইডি কার্ড, ফোন নাম্বার এবং চোখ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রয়োজন হবে। 

তারপর দুবাই ড্রাইভিং লাইসেন্স ফাইল ওপেন করা হয়ে গেলে আপনাকে তিন দিনের সময় দেওয়া হবে।
এই তিন দিন আপনাকে অফিসে যেতে হবে এবং বিভিন্ন বিষয় যেমন ট্রাফিক, সাইন, location ইত্যাদির উপরে অল্প পরিমাণে ধারণা দেওয়া হবে বা হালকা ট্রেনিং করানো হবে। ট্রেনিং শেষ হওয়ার পর আপনার একটি ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউতে পাস করার পর আপনাকে ৩০০০ দিরহাম জমা দিতে হবে। তারপর আবরো আপনাকে ১০ থেকে ১২ দিন ট্রেনিং করানো হবে। এই ট্রেনিং প্রতিদিন এক ঘন্টা করে নেওয়া হবে। 

এভাবে ১০ থেকে ১২ দিন সম্পন্ন হওয়ার পর আবারো আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে হবে। আপনার যদি পুনরায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন তাহলে দুবাইয়ের ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। আপনি ৩০০০ দিরহাম প্রদানের পর সর্বোচ্চ তিনবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। যদি তিনবারের মধ্যে আপনি পাস করতে না পারেন তাহলে আপনাকে পুনরায় ৩৫০০ দিরহাম প্রদানের মাধ্যমে আবারো তিনবার পরীক্ষার সুযোগ পেতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই প্রথম তিনবারেই পরীক্ষায় পাস করে যায় এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যায়।

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

দুবাই ড্রাইভিং ভিসায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে তা জানা প্রয়োজন। কারণ দুবাই যাওয়ার জন্য আপনার কিছু টাকার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার জন্য সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সি গুলো প্রায় তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারণ করে থাকে। তবে এটি বিভিন্ন কারণে কমবেশি পরিবর্তন হতে পারে।

এছাড়াও দুবাইতে যাওয়ার পর আপনার অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই ৪৫০০ থেকে ৭ হাজার দিরহাম পর্যন্ত খরচ হতে পারে। খরচের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফি এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এজন্য দুবাই যাওয়ার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই খরচের দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে।

দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত

দুবাইতে ড্রাইভিং ভিসার পাশাপাশি দুবাই হোটেল ভিসার চাহিদাও প্রচুর। আপনারা অনেকেই দুবাই হোটেল ভিসার বেতন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। যেহেতু দুবাই হল মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত একটি দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এর উন্নত একটি শহর। তাই এখানে প্রতিবছর কাজের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে দুপায়ে আসে। তবে দুবাই হোটেল ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই দুবাই হোটেল ভিসার বেতন সম্পর্কে জানতে হবে।

যেহেতু দুবাই অনেক পর্যটক বেড়াতে আসে তাই হোটেল রুম ভাড়া এবং বিভিন্ন সার্ভিসের জন্য হোটেলে শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়। আপনি যদি দুবাই হোটেল ভিসায় যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে ইংলিশ জানতে হবে। কারণ দুবাইতে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক বেড়াতে আসে এবং তাদেরকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।

হোটেলের বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকায় সেখানে কর্মরত সকল কর্মচারীর বেতন আলাদা হয়ে থাকে। তাই ভোটের ভিসায় দুবাই যাওয়ার আগে আপনি কি কাজ করতে চান সেটা সম্পর্কে প্রথমে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। একজন সাধারণ কর্মচারী হোটেল ভিসায় দুবাই গেলে সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৫০ হাজার টাকা। আপনি যদি ফাইভ স্টার হোটেলে একজন কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন হবে সর্বনিম্ন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

দুবাই রেস্টুরেন্ট বেতন কত

বাংলাদেশের মানুষ যেহেতু খুবই আরাম প্রিয় তাই তারা একটু সহজ কাজ করতে খুবই আগ্রহী হয়। এই কারণে তারা রেস্টুরেন্ট ভিসায় দুবাই যেতে চায়। রেস্টুরেন্টে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি থাকায় এর বেতনও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আপনি যদি রেস্টুরেন্টে ক্লিনারের কাজ করতে চান হবে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর আপনি যদি ওইটার এর কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার বেতন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হবে।

এছাড়াও আপনি রাধুনীর কাজও করতে পারেন এবং তাদের বেতনও অনেক বেশি। একজন রাধুনী হিসেবে আপনি ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। এরপর যারা রুম সার্ভিস দিয়ে থাকে তাদের সর্বনিম্ন বেতন হয় ৪০ হাজার টাকা এবং তারা বিভিন্ন সময় টুরিস্টদের কাছ থেকে বোনাস বা টিপস পেয়ে থাকে। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসায় গেলে আপনারা কেমন ধরনের বেতন পেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্যঃ দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি দুবাই ড্রাইভিং ভিসা বেতন সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। যদি এ বিষয়ে আপনাদের আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। আপনারা যদি ড্রাইভিং ভিসায় দুবাই যেতে চান তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

তার পাশাপাশি যে কাজের জন্য প্রবাসে পাড়ি জমাবেন সে সম্পর্কে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই ভালো স্যালারিতে কাজ পেয়ে যাবেন। কারণ সব জায়গাতেই অভিজ্ঞতার প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়। আর পূর্ব থেকে প্রস্তুতি থাকলে কাজ পাওয়াটাও সহজ হয়ে যায়। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটির নিয়মিত ভিজিট করুন।সঙ্গে থাকুন বঙ্গ টিপস আইটির।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url