কিভাবে অনলাইনে নতুন মিটার আবেদন করবেন- সহজ ও সঠিক গাইডলাইন
Bongo Tips IT ✅
২৮ এপ্রি, ২০২৫
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম চালু
করেছে। নতুন বাসা বাড়ি বা দোকানপাট এর জন্য আমাদের নতুন মিটারের
প্রয়োজন হয়। তখন নতুন মিটারের আবেদন করতে গিয়ে আমাদের অনেক সমস্যার
সম্মুখীন হতে হয়।
আবার অফলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে দালালদের চক্করে পড়ে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। দালালরা প্রায়ই নতুন মিটারের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকে। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো কিভাবে অনলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে হয়।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করার কিছু ধাপ রয়েছে। প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র এবং সেই ধাপগুলো কমপ্লিট করলেই আপনার আবেদন সম্পন্ন
হবে। আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো সংযুক্ত করতে
হবে। সঠিক তথ্য এবং প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে অনলাইনে আবেদন করা
যাবে। চলুন অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিই।
প্রথম ধাপঃ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন
প্রথমে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.rebps.com এ
প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে পল্লী বিদ্যুতের অফিসিয়াল
পেজটি ওপেন হবে।এরপর আপনাকে আবেদন অপশনে যেতে হবে। আবেদন অপশনে গেলে আবেদন
করুন অপশন আসবে। আবেদন করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে। অপশন দিতে ক্লিক
করার পর আপনার সামনে একটি ফর্ম চলে আসবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ আবেদনকারীর তথ্য প্রদান
এই ফর্মের মধ্যে থাকা লাল রংয়ের চিহ্নিত স্টার(*) দেওয়া তথ্যগুলো অবশ্যই
পূরণ করতে হবে।প্রথমে লিস্ট থেকে আপনার এলাকা অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও
জোনাল অফিস সিলেক্ট করুন। তারপর একক বাড়ি বা বাসার(আবাসিক) এর জন্য
সংযোগের ট্যারিফ হিসেবে এলটি-এ সিলেক্ট করুন। যদি ফ্ল্যাট
বাড়ি(আবাসিক) এবং বহু দল ভবন হয় সে ক্ষেত্রে এমটি-এ সিলেক্ট
করুন।
তারপর আবেদনকারীর বিবরণ অংশে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত সকল তথ্য প্রদান করুন।এখানে
দেখানো স্টার চিহ্নিত অংশগুলোতে অবশ্যই তথ্য প্রদান করতে হবে এবং যেখানে
ইংরেজিতে লিখতে বলা হবে সেখানে ইংরেজিতে লিখতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্যের মধ্যে
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, মোবাইল নাম্বার, জন্ম
তারিখ ইত্যাদির সঠিক তথ্য দিন। তারপর পরবর্তী ধাপে চলে যেতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রস্তাবিত সংযোগস্থলের তথ্য প্রদান
এই পর্যায়ে এসে প্রথমে আবেদনকারীর আইডি কার্ড অনুযায়ী স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করতে
হবে।এখানে অবশ্যই আইডি কার্ড অনুযায়ী সকল তথ্য দিতে হবে। যেখানে আপনি
নতুন মিটারের সংযোগ নিতে চান অর্থাৎ প্রস্তাবিত সংযোগস্থলের বিবরণ দিতে
হবে। এক্ষেত্রে আপনি সেই জায়গা অনুযায়ী নাম জারি অথবা দলিলের কপি সংযুক্ত
করবেন। এখানে সংযোগস্থলে ঠিকানাও সেই অনুযায়ী দিতে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ কানেকশন, লোড, জিওগ্রাফিক এবং চাহিদাকৃত লোডের সঠিক
তথ্য
আপনি যেখানে মিটার সংযোগ নিতে চান সেখান থেকে নিকটবর্তী কারেন্টের পোল অনুযায়ী
সঠিক দূরত্ব মেপে নিন এবং সে অনুযায়ী জিওগ্রাফিক তথ্য প্রদান করুন। যদি মাপ
ভুল হয় তাহলে তারের অথবা ক্যাবলের সংযোগ পেতে সমস্যা হবে। একই
ট্রান্সফর্মার থেকে কানেক্ট হওয়া অন্য গ্রাহকের বই নাম্বার, হিসাব
নাম্বার, মিটার নাম্বার এবং পোল নাম্বার ইংরেজিতে পূরণ করতে
হবে। তারপর এটা আপনার স্থায়ী ঠিকানা নাকি অস্থায়ী ঠিকানা তা নির্ধারিত
করুন।
পঞ্চম ধাপঃ সকল ডকুমেন্ট আপলোড এবং সম্মতি প্রদান
এই পর্যায়ে এসে আপনার প্রয়োজনীয় সকল রকমের যেমন আপনার ছবি, জাতীয় পরিচয়
পত্র এবং খারিজের তথ্য আপলোড করতে হবে। আপলোড করার সময় অবশ্যই সঠিক
সাইজ দেখে নিন। তারপর বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শর্তগুলোর সঙ্গে একমত
আছেন এরকম বক্সে টিক চিহ্ন দিন। তারপর আপনার সামনে একটি ক্যাপচা কোড আসবে সেটি
পূরণ করুন।এরপর সংরক্ষণ করুন বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনাকে একটি ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার দেওয়া হবে। যেটি
খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই খুব যত্ন সহকারে ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন
নাম্বার সংরক্ষণ করুন। এই পর্যায়ে এসে আপনার বাড়ির হাউজ ওয়ারিং হয়েছে
কিনা নিশ্চিত করুন। হাউস ওয়্যারিং শেষ হলে আপনি আবার ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করে মেনুবার থেকে হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করুন এ ক্লিক করতে
হবে এবং গ্রাউন্ড রড কেনার মেমো বা রশিদের নাম্বারটি ইংরেজিতে লিখতে
হবে।
সবশেষে রশিদ বা মেমোটি আপলোড করুন এবং বাড়ির ঠিকানা দিন। এই পর্যায়ে
আরেকটি ক্যাপচা কোড পূরণ করতে বলবে, সেটি পূরণ করুন এবং সম্পূর্ণ বাটনে
ক্লিক করুন। তারপর আবেদনের সংযোগ ফি পরিশোধ করুন। আপনি আবেদনের সর্বশেষ
অবস্থা জানতে মেনুবারে গিয়ে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন অপশনে ক্লিক
করে আবেদনটি কি পর্যায়ে আছে তা জানতে পারেন।
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন ফি
আপনি যদি নতুন মিটার নিতে চান তাহলে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে
পারেন। অনেক সময় আবেদন পত্র লিখে জমা দিলে এর কার্যক্রম বাস্তবায়ন
হতে অনেক সময় নেয় অথবা দালালদের খপ্পরে পড়তে হয়। তাই এ সকল ঝামেলা
এড়াতে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে পারেন।
অনলাইনে নতুন মিটারের আবেদন করতে আপনার খুবই অল্প পরিমাণে টাকা খরচ হবে।
অনলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করতে আপনার আবেদন ফি বাবদ মাত্র
১৩৮টাকা(ভ্যাটসহ) খরচ হবে। আপনি চাইলে রকেট অথবা সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে
গিয়েও আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের শর্ত
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য কি আপনি আবেদন করতে চাচ্ছেন? যদি আপনি
মিটার আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের কিছু শর্ত
রয়েছে তা সম্পর্কে জানতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়েবসাইটে গিয়ে
হোমপেজে গেলেই আপনারা সেই শর্তাবলী দেখতে পাবেন। আপনাদের সুবিধার্থে
সেই শর্তাবলী গুলো এখানে উল্লেখ করছি-
১) আবেদন করার সময় ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্র ও সংযোগস্থলের মূল দলিল/খারিজের
স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে।
২) সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব (সংযোগস্থল হইতে সার্ভিস পোলের দুরত্ব)১৩০ ফুটের
মধ্যে হতে হবে।
৩) সঠিক ভাবে মেপে সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব প্রদান করুন। সার্ভিস ড্রপের দুরত্ব
সঠিক না হলে তারের দৈর্ঘ্য কম/বেশি পারে। ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংযোগ পেতে
বিলম্ব হতে পারে।
৪) আবেদনের সাত (৭) দিনের মধ্যে ঘর/হাউজ ওয়্যারিং এবং সোলার ইউনিট (প্রযোজ্য
হলে) স্থাপন করতঃ তা অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। অন্যথায় আবেদনটি
অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
৫) মোট লোড ৮০ কিলোওয়াট এর বেশি হলে এইচটি সংযোগের নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে।
৬) অনলাইনে সার্ভে করার পর প্রয়োজনীয় অর্থ (আবেদন ফি, মেম্বারশীপ ফি ও
নিরাপত্তা জামানত) জমাদানসহ সকল নির্দেশনা এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে।
৭) আবেদন ফরমের লাল(*) চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলো অবশ্যই পূরন করতে হবে।
৮) আবেদন পত্রে গ্রাহকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর প্রদান করুন।
৯) আবেদনের পর প্রাপ্ত ট্র্যাকিং আইডি এবং পিন নম্বর অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।
১০) সংযোগের অর্থ ডাচবাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং (রকেট) / ট্রাস্ট ব্যাংকের
মোবাইল এপ (ট্যাপ) এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
১১) রকেট /ট্যাপ এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করার জন্য নিচে নিয়মাবলী দেখে নিন।
(www.rebpbs.com ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত)
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে কি কি লাগে
আপনি যদি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে চান তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু
কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। আমি যদি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে
গিয়ে সরাসরি আবেদন করেন অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করেন সে ক্ষেত্রেও কিছু
নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। চলুন দেখে নিই মিটার আবেদন
করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়-
আবেদনকারীর নাম, মোবাইল নাম্বার এবং জাতীয় পরিচয় পত্র
নাম্বার। অবশ্যই যে মোবাইল নাম্বারটি আপনার চালু রয়েছে সেটা দিতে
হবে।
আবেদনকারীর স্থায়ী এবং যেখানে মিটার লাগানো হবে অর্থাৎ সংযোগস্থলে
ঠিকানা।
সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, খতিয়ান নাম্বার এবং দাগ নাম্বার
দিতে হবে। এছাড়াও আপনাকে প্রমাণ হিসেবে দলিল বা খারিজের ফটোকপি দিতে
হবে।
যেই ট্রান্সফর্মার থেকে আপনি বিদ্যুৎ নিতে চান, সেই একই ট্রান্সফরমার
ব্যবহার করে এরকম পার্শ্ববর্তী গ্রাহকের হিসাব নাম্বার এবং বই নাম্বার
সংগ্রহ করতে হবে।
সার্ভিস পোল অর্থাৎ কারেন্টের পোল থেকে আপনি যেখানে মিটার নিতে
চাচ্ছেন সেই স্থানটি কতটুকু দূরত্ব হচ্ছে তা মেপে নিন।
আপনার বাসায় প্রয়োজন অনুযায়ী কতটুকু কারেন্টের লোডের প্রয়োজন হতে
পারে তা উল্লেখ করুন।
গ্রাউন্ড রডের ক্যাশ মেমোর ছবি বা ফটোকপি সংগ্রহ করুন। কারণ আপনার হাউজ
ওয়ারিং নিশ্চিত প্রমাণ করার সময় এগুলো প্রয়োজন হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম
বর্তমানে বাংলাদেশে অসংখ্য নতুন নতুন ঘরবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে
নতুন মিটারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন মিটার আবেদনের জন্য আপনাকে
আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য প্রয়োজন হয় এবং তার
পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। যেমন-
আবেদনকারীর নাম
ঠিকানা
জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার
মোবাইল নাম্বার
ই-মেইল(যদি থাকে)
সংযোগস্থলে ঠিকানা
স্থায়ী ঠিকানা
আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক কোন ধরনের সংযোগ তা উল্লেখ করতে হবে
জমির মালিকানার কাগজপত্র এবং দলিলের ফটোকপি
সরকার নির্ধারিত আবেদন ফি
কিছু ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ছবির প্রয়োজন হয়
নতুন বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে
হয়। ফরমটি নিম্নরূপ-
Palli bidyut online Application tracking কিভাবে করব
Palli bidyut online Application tracking করার জন্য প্রথমে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ
অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে সাধারণত "Application
Tracking" বা "আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন" নামে একটি অপশন থাকে, যেখানে
আপনি আপনার আবেদন নম্বর বা রেফারেন্স নম্বর প্রদান করে আবেদনটির বর্তমান অবস্থা
দেখতে পারেন।
কিছু ক্ষেত্রে, আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিয়েও
ট্র্যাকিং করতে পারবেন। আবেদন নম্বর প্রদান করার পর, ওয়েবসাইট আপনার আবেদনটি
খুঁজে বের করে তার অবস্থান জানাবে। যেমন আবেদনটি অনুমোদিত হয়েছে কি না,
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে কি না, অথবা আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন আছে কি নেই।
যদি আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মিটার আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে
না পারেন, তাহলে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে(১৬২২২) ফোন করে
বা সরাসরি অফিসে গিয়ে আপনার আবেদন সম্পর্কে তথ্য নিতে পারেন। কিছু কিছু এলাকায়
পল্লী বিদ্যুৎ তাদের গ্রাহকদের জন্য মোবাইল অ্যাপও চালু করেছে, যার মাধ্যমে আপনি
সহজে আবেদন ট্র্যাক করতে পারবেন।সেক্ষেত্রেও আপনার আবেদনের সময় দেওয়া সেই
ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার প্রয়োজন হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ নতুন মিটারের জন্য আবেদন খরচ কত
বাংলাদেশের নতুন নতুন ঘরবাড়ি হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের নতুন মিটারের
প্রয়োজন হচ্ছে। নতুন মিটারে আবেদনের জন্য আপনাদের কিছু খরচ বহন করতে
হবে। মিটার আবেদনের শুরুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে সকল খাতে আপনাদের খরচ
করতে হবে এবং কত টাকা খরচ করতে হবে তার মোটামুটি ধারণা নিচে দেয়া হলো।
আবেদন ফি বাবদ ১৩৮টাকা(ভ্যাটসহ) খরচ হতে পারে।
জামানত ফি বাবদ প্রতি কিলোওয়াট লোডের জন্য ৯৬০ টাকা(ভ্যাটসহ) প্রদান
করতে হবে।
সদস্য ফি ৫০ টাকা প্রদান করতে হবে।
ওয়ারিং এবং মালামাল ক্রয়ের জন্য বাজারদরের উপর নির্ভর করে কমবেশি 1১২০০
থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হতে পারে।
ইলেকট্রিশিয়ান ফি বাবদ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে।
ডি-১১ তার যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার মিটার প্রতি ২০ টাকা খরচ করতে
হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার পর আবেদনটি কি পর্যায়ে আছে সেটা জানার জন্য
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার প্রয়োজন পড়ে। তবে এ সম্পর্কে অনেকেই
হয়তো বিস্তারিত জানেন না। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার জন্য
আপনাদের কয়েকটি ধাপ বা নিয়ম ফলো করতে হবে। আপনারা যদি মিটার আবেদন
অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই লিংকে
অনলাইনে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান গাইড-২০২৫ প্রবেশ করে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েব সাইটে
প্রবেশ করতে হবে।
আবেদন অপশনে গিয়ে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন ক্লিক করতে
হবে।
তারপর ট্রেকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বার দিয়ে সাবমিট করতে হবে। ট্রাকিং
নাম্বার এবং পিন নাম্বারটি আবেদন করার সময় পাওয়া যায়।
তারপর আপনাকে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানানো হবে।
সবুজ চিহ্নিত লেখাগুলো বা ঘর গুলো পর্যন্ত আপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে আর লাল
চিহ্নিত ঘরগুলো বা লেখা গুলো এখনো কাজ শেষ হয়নি।
আপনারা যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মিটার আবেদন অনুসন্ধান করতে না পারেন তবে সে
ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসিয়াল নাম্বার বা ১৬২২২ নাম্বারে ফোন দিয়ে
তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন।
সমসাময়িক প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ নতুন মিটার সংযোগের জন্য অনলাইনে আবেদন কিভাবে করব?
উত্তর: আপনি প্রথমে পল্লী
বিদ্যুৎ অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে www.rebpbs.com গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ
করবেন। আবেদন ফরমে আপনার নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যোগাযোগের তথ্য
এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য পূর্ণ করতে হবে। এরপর আবেদন ফি প্রদান করতে হবে
এবং আবেদনটি জমা দিন।
প্রশ্নঃনতুন মিটার সংযোগের জন্য আবেদন ফি কত?
উত্তর: নতুন মিটার সংযোগের
জন্য আবেদন ফি সাধারণত ১৩৮ টাকা (ভ্যাটসহ)। তবে, জামানত ফি এবং অন্যান্য চার্জও
থাকতে পারে, যা সংযোগের ধরণ এবং এলাকার উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃআমি কি অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদনের অবস্থা ট্র্যাক করতে পারব?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি পল্লী
বিদ্যুৎ অফিসের ওয়েবসাইটের "Application Tracking" বা আবেদন অপশনে
গিয়ে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন অপশনের মাধ্যমে ট্রাকিং নাম্বার ও পিন
নাম্বার দিয়ে আপনার আবেদনটির অবস্থা জানতে পারবেন। এতে আপনি জানতে পারবেন,
আবেদনটি প্রক্রিয়াধীন, অনুমোদিত, বা বাতিল করা হয়েছে কিনা।
প্রশ্নঃ কোন কাগজপত্র প্রয়োজন নতুন মিটার সংযোগের জন্য?
উত্তর: নতুন মিটার সংযোগের
জন্য সাধারণত আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জমির মালিকানা প্রমাণ (খতিয়ান বা
পর্চা), স্থাপনার ছবি এবং আবেদন ফরম সহ অন্যান্য প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে।
প্রশ্নঃআমি কি নতুন মিটার সংযোগের জন্য শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারব?
উত্তর: হ্যাঁ, বেশ কিছু
অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে। তবে, কিছু স্থানীয় পল্লী
বিদ্যুৎ অফিসে সরাসরি আবেদন করতে হতে পারে। আপনি আপনার অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুৎ
অফিসের ওয়েবসাইটে দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন।
প্রশ্নঃকতদিনে নতুন মিটার সংযোগ পাওয়া যাবে?
উত্তর: নতুন মিটার সংযোগ
পাওয়ার সময়কাল সাধারণত ৭ থেকে ১৫ দিন হতে পারে, তবে এটি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের
কাজের চাপ এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃআমি যদি কোনো তথ্য ভুল লিখে থাকি, তাহলে কি করব?
উত্তর: যদি আপনি আবেদন
ফরমে কোনো ভুল তথ্য লিখে থাকেন, তাহলে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সংশোধন
করতে পারবেন অথবা আবেদন ফরম পুনরায় জমা দিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ যদি আবেদন বাতিল হয়, তাহলে আমি কি করতে পারব?
উত্তর: যদি আপনার আবেদন
বাতিল হয়ে যায়, তবে আপনি সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে কারণ জানতে পারবেন
এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বা কাগজপত্র পূর্ণ করে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃআবেদন ফি কি অনলাইনে প্রদান করা যাবে?
উত্তর: হ্যাঁ, বেশ কিছু
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অনলাইনে আবেদন ফি গ্রহণ করে থাকে। আপনি রকেট বা পেমেন্ট
গেটওয়ে ব্যবহার করে অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
প্রশ্নঃপল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করার পর কি আমি নিশ্চিন্ত থাকতে
পারব?
উত্তর: পল্লী বিদ্যুৎ
সংযোগের জন্য আবেদন করার পর, যদি সব কাগজপত্র সঠিক থাকে এবং ফি জমা দেওয়া থাকে,
তাহলে সাধারণত সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে, যদি কোনো অসুবিধা হয়, তাহলে আপনি
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন বা পল্লী বিদ্যুৎ ওয়েবসাইটে
ঢুকে তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্যঃ নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন
নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত
জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত
হয়েছেন। নতুন মিটারের আবেদনের সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য এবং প্রয়োজনে সকল
ডকুমেন্ট প্রদান করুন। তাহলে মিটার পেতে আপনার খুব বেশি দেরি হবে
না। তথ্য ভুল হলে অথবা প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস না থাকলে অনেক সময় মিটার
পেতে দেরি হয় অথবা আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যায়। তাই অবশ্যই সঠিক তথ্য এবং
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদান করুন। ধন্যবাদ এতক্ষণ সঙ্গে থাকার
জন্য।
বঙ্গ টিপস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url